মাঙ্গলিক দোষের কুপ্রভাব কখন বিবাহিত জীবনে পড়বে না

জ্যোতিষ শাস্ত্রের বহু প্রাচীন ‘নাড়ী জ্যোতিষ’ শাস্ত্র মতে, একটা কুষ্টি দেখে বোঝা যায় যে, কখন মাঙ্গলিক দোষের কু-প্রভাব বিবাহিত জীবনে পারস্পরিক সম্পর্ককে অতটা খারাপ করবে না।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০০:০০
Share:

জ্যোতিষ শাস্ত্রের বহু প্রাচীন ‘নাড়ী জ্যোতিষ’ শাস্ত্র মতে, একটা কুষ্টি দেখে বোঝা যায় যে, কখন মাঙ্গলিক দোষের কু-প্রভাব বিবাহিত জীবনে পারস্পরিক সম্পর্ককে অতটা খারাপ করবে না।

এখন দেখে নেওয়া যাক, ‘নাড়ী জ্যোতিষ’ শাস্ত্র অবলম্বনে কিছু সূত্র:

১। মঙ্গল যদি বুধের ক্ষেত্রে অবস্থান করে লগ্নের দ্বিতীয় ভাবে অবস্থান করে অর্থাৎ বৃষ লগ্ন এবং সিংহ লগ্নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভাব হল বুধের ক্ষেত্র (মিথুন ও কন্যা)। সে ক্ষেত্রে মঙ্গল থাকলে সেই মাঙ্গলিক যোগ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে অতটা কূপ্রভাব দেয় না।

২। মঙ্গল যদি শুক্রের ক্ষেত্রে অবস্থান করে লগ্ন থেকে চতুর্থ ও সপ্তম ভাবে অবস্থান করে অর্থাৎ কর্কট লগ্নের চতুর্থ ভাব (তুলা রাশি), কুম্ভ লগ্নের চতুর্থ ভাবে (বৃষ রাশি), মেষ লগ্নের সপ্তম ভাব (তুলা রাশি) বৃশ্চিক লগ্নের সপ্তম ভাব (বৃষ রাশি) হল শুক্রের ক্ষেত্র (বৃষ ও তুলা), সে ক্ষেত্রে মঙ্গল থাকলে সেই মাঙ্গলিক যোগ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে অতটা কূপ্রভাব দেয় না।

কর্কট লগ্নের ক্ষেত্র চতুর্থ ভাবে শুধুমাত্র একা মঙ্গল থাকলে তবেই এই সূত্র কার্যকর হবে। কিন্তু কর্কট লগ্নের চতুর্থ ভাব অর্থাৎ তুলা রাশিতে মঙ্গল যদি শনি, রাহু দ্বারা যুক্ত বা নাক্ষত্রিক ভাবে কিংবা কোনও ভাবে সংযোগ করে, কিংবা মঙ্গল যদি বক্রী থাকে, সে ক্ষেত্রে সেই মাঙ্গলিক বিবাহ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাল তো দেবেই না, উল্টে যেটুকু ক্ষতি হওয়ার কথা তার থেকেও বেশি ক্ষতি করতে পারে। তাই কর্কট লগ্নের ক্ষেত্রে চতুর্থে মঙ্গল থাকলে সেখানে একটু বুঝেশুনে বিচার করা কর্তব্য। তবে মঙ্গল একা থেকে একমাত্র স্বাতী নক্ষত্র বাদ দিয়ে বাদবাকি চিত্রা ও বিশাখা নক্ষত্রে থাকলে সে ক্ষেত্রে সেটা অতটা কূপ্রভাব দেবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন : খুব সাবধান পকেটে এই জিনিস গুলো কখনো রাখবেন না, নিজের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে

৩। মঙ্গল যদি বৃহস্পতির ক্ষেত্রে অবস্থান করে লগ্ন থেকে অষ্টম ভাবে অবস্থান করে, অর্থাৎ বৃষ লগ্ন এবং সিংহ লগ্নের ক্ষেত্রে অষ্টম ভাব হল বৃহস্পতির ক্ষেত্র (ধনু ও মীন), সে ক্ষেত্রে মঙ্গল থাকলে সেই মাঙ্গলিক যোগ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে অতটা কূপ্রভাব দেয় না।

৪। মঙ্গল যদি উচ্চস্থ বা নীচস্থ থেকে সপ্তম ভাবে অবস্থান করে, অর্থাৎ কর্কট লগ্নের কুষ্টির ক্ষেত্রে সপ্তম ভাবে (মকর রাশি) মঙ্গল উচ্চস্থ থাকার জন্য অতটা ক্ষতি করবে না কিংবা মকর লগ্নের কুষ্টির ক্ষেত্রে সপ্তম ভাবে (কর্কট রাশি) মঙ্গল নীচস্থ থাকার জন্য অতটা ক্ষতি করবে না।

৫। মঙ্গল যদি স্বক্ষেত্রী হয়ে (মেষ ও বৃশ্চিক রাশি) মাঙ্গলিক যোগ সৃষ্টি করে, তা হলে সেটা অতটা ক্ষতি করবে না।

৬। মাঙ্গলিক কুষ্টিতে মঙ্গলের উপর বৃহস্পতি ও শনির দৃষ্টি বা সংযোগ থাকলে সেই যোগের কুপ্রভাব কমে যায়। তবে তুলা রাশিতে মঙ্গল থাকলে সেখানে শনির সংযোগ হলে এই তথ্য প্রযোজ্য নয়।

৭। লগ্ন হিসেবে মঙ্গলের অবস্থান ভিত্তিক মাঙ্গলিক কুষ্টিতে মঙ্গল যদি ১৮ ডিগ্রির কম থাকে, সে ক্ষেত্রে সেই কুষ্টিকে মাঙ্গলিক দোষ হিসেবে অতটা ধরা হয় না। অর্থাৎ মঙ্গলের ডিগ্রি ১৮ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে তবেই সেই কুষ্টিকে মাঙ্গলিক দোষের কুষ্টি বলা যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement