সঠিক গ্রহরত্ন নির্বাচন পদ্ধতি খুব জটিল। এ যেন গুরুতর অসুখে ঠিক ডাক্তার আর সঠিক ওষুধ নির্বাচনের মতো। একাধিক গ্রহরত্নের প্রয়োজন হলে উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে জন্মছক, নবাংশছক, দশমাংশছক, আরূঢ় লগ্ন, উপপদ লগ্ন, গ্রহ দৃষ্টি, গ্রহ বল, নবতারা, ষণ্ণাড়ী ইত্যাদি বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করে গ্রহরত্ন নির্বাচন জরুরি।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন অবস্থায় কোন গ্রহরত্ন ধারণ করা উচিত কখন উচিত নয়:
১। একই গ্রহের রত্ন এবং উপরত্ন একই সঙ্গে ধারণ করবেন না, এতে চরম ক্ষতি হবে।
২। বারো বছর বয়সের পর প্রয়োজন পড়লে চন্দ্রের জন্য সিলনীজ মুনস্টোন অথবা শুধু মাত্র বসরাই মুক্তো ধারণ করবেন। কালচারড মুক্তো ধারণ করবেন না।
৩। শনির প্রতিকারের জন্য নীলা পরবেন না, ব্লু টোপাজ পরবেন (ক্ষেত্র বিশেষ)।
আরও পড়ুন: গ্রহরত্ন কাজ করে না কখন জানেন? (প্রথম পর্ব)
৪। সাদা প্রবাল ও রক্ত প্রবাল এক সঙ্গে পরবেন না।
৫। বৃহস্পতি এবং শুক্রের প্রতিকারের জন্য হলুদ জারকন ধারণ করবেন না।
৬। নার্ভ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে পান্না ব্যবহার নিষিদ্ধ।
৭। যদি হঠাৎ রেগে যান, বা মাথা গরম হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তা হলে গোমেদ এবং মুক্তো ধারণ করবেন না।
৮। পেটের কোনও সমস্যা থাকলে অনেকেই রক্ত প্রবাল ধারণের নির্দেশ দেন। এটি সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। পেটের কোনও সমস্যা থাকলে রক্ত প্রবাল একদম ধারণ করবেন না।
৯। মুক্তো বা মুনস্টোন তর্জনীতে ধারণ করবেন না। অবশ্যই কনিষ্ঠায় ধারণ করবেন।
১০। শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত মুক্তো বা মুনস্টোন ধারণ করবেন না।