Setting of Saturn

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শনি অস্তাচলে যাচ্ছে, এর অর্থ কী? কত দিন এই দশা চলবে? এর ফলে কী হবে?

যদিও এই সময় গ্রহেরা প্রভাব দান থেকে বিরত থাকে না, সূর্যের প্রখরতার কারণে নির্দিষ্ট গ্রহের ফলপ্রাপ্তির ক্ষমতা কমে যায়।

Advertisement

সুপ্রিয় মিত্র

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৬
Share:
saturn

—প্রতীকী ছবি।

গ্রহ অস্ত কী? গ্রহ কি সত্যি অস্ত যায়? সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহেরা নিজ নিজ কক্ষ পথে অবিরাম ঘুরছে। পৃথিবীর সাপেক্ষে গ্রহের অবস্থান হিসাব করা হয় কৌণিক দূরত্বে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী ভবিষ্যদ্বাণী করতে গেলে সবার প্রথম সূর্য, চন্দ্র, সৌরমণ্ডলের অন্যান্য গ্রহ এবং গাণিতিক বিন্দু বা নোডের (রাহু এবং কেতু ) অবস্থান সঠিক ভাবে নির্ণয় করতে জানা প্রয়োজন। পৃথিবীর সাপেক্ষে সৌরমণ্ডলের প্রধান পাঁচ গ্রহের এবং চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য প্রাচীন মুনি-ঋষিগণ সৌরমণ্ডলকে কাল্পনিক বারোটি রাশিতে বিভক্ত করেছিলেন। পাঁচটি গ্রহ, রাহু, কেতু এবং সূর্য-চন্দ্রের অবস্থান এই বারোটি রাশির মধ্যেই। পৃথিবীর অবস্থানের কারণে সূর্য বারো মাসে বারোটি ভিন্ন রাশিতে অবস্থান করে। প্রত্যেক গ্রহ নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করলেও কোনও না কোনও সময় সূর্যের থেকে খুব কম কৌণিক দূরত্বে এবং পৃথিবী এবং সূর্যের সঙ্গে সমান্তরাল অবস্থানে এসে পৌঁছোয়। গ্রহগুলি সূর্যের সঙ্গে ০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে অবস্থান করে। যে কোনও গ্রহ সূর্যের সমান্তরাল অবস্থানে আসার আগের ১০ ডিগ্রি এবং পরের ১০ ডিগ্রি সময়কাল সূর্যের প্রখরতার কারণে পূর্ণ ফল প্রদানে অক্ষম হয়। যদিও গ্রহের প্রভেদে ডিগ্রিরও প্রভেদ হয়। শনির ক্ষেত্রে এই সময়কাল কমবেশি ১৫ ডিগ্রি। এই সময়কালকে নির্দিষ্ট গ্রহের দগ্ধ বা অস্তগত অবস্থা বলে। যদিও এই সময় গ্রহেরা প্রভাব দান থেকে বিরত থাকে না, সূর্যের প্রখরতার কারণে নির্দিষ্ট গ্রহের ফল প্রাপ্তির ক্ষমতা কমে যায়।

Advertisement

শনি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সময় কাল দগ্ধ অবস্থায় রাশিচক্রে অবস্থান করবে। এখন প্রশ্ন হল কারা এর ফলে লাভবান হবেন এবং কাদের ক্ষতি হবে।

নির্দিষ্ট ভাবে কার লাভ বা কার ক্ষতি হবে বলা সম্ভব নয়। কারণ সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য জন্মকালীন ছকের সঠিক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলাই রয়েছে একটি গ্রহের অবস্থানের ফলে কোন রাশির উপর কী প্রভাব দেখা যাবে সেটি অনুমান করা সহজ নয় এবং তা সঠিক হবে কি না তা-ও বলা যায় না। কিন্তু সার্বিক ভাবে বলা যায় যে যাঁরা শনি গ্রহের কুপ্রভাবে ভুগছিলেন এই ক’দিনের জন্য তাঁদের ভোগান্তি একটু হলেও কমবে, এবং যাঁরা শনির সুপ্রভাব পাচ্ছিলেন তারা শনির সুপ্রভাব থেকে সামান্য হলেও বঞ্চিত হবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement