জ্যোতিষ মতে, স্বভাব বিচার করা হয় লগ্ন, লগ্নপতি এবং কারক গ্রহ রবি থেকে। সুতরাং প্রেম-প্রণয়ের বিচারের ক্ষেত্রে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। এ ছাড়াও বৃদ্ধাঙ্গুলির নমনীয়তা বা অনমনীয়তা থেকে মানব স্বভাব অতি নিখুঁত ভাবে বোঝা যায়। এই বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রেম-প্রণয়ের ক্ষেত্রে কী ভাবে মানব স্বভাবে প্রভাব ফেলে দেখে নেওয়া যাক-
নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি—
বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপরের পর্বকে চাপ দিয়ে যদি পিছনের দিকে হেলানো যায় তাকে নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি বলে। যত বেশি পিছনের দিকে হেলবে তত সে নমনীয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অপরিসীম। প্রেমে যতই দুঃসময় আসুক সব সহ্য করে তাকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যায়। এরা মানুষের সঙ্গে মিশতে জানে। এদের ব্যবহার অমায়িক হয়। ফলে এরা সকলের প্রিয়পাত্র হয়। এদের মধ্যে একগুঁয়েমি থাকে না। ফলে প্রেমের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল কম হয়। এরা কোনও ভুল করলে ভুল স্বীকার করে। ভালবাসার মানুষকে কখনওই ছাড়তে চায় না। এদের মধ্যে দয়া, মায়া, সহমর্মিতা যথেষ্ট থাকে।
অনমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি—
বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপরের পর্বকে চাপ দিয়ে যদি পিছনের দিকে হেলানো না যায়, তা হলে তাকে অনমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি বলে। এরা প্রচণ্ড একগুঁয়ে হয়। এরা নিজেরা কোনও ভুল করলেও সেই ভুল আঁকড়ে থাকে এবং কখনওই সেই ভুল স্বীকার করে না। এই জেদের জন্যই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরা অনেক ক্ষেত্রে খুব চাপা হয়। ফলে এদের প্রেমিক বা প্রেমিকারা অনেক ক্ষেত্রে এদের মনের কথা জানতে পারে না। এরা এদের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে ভুল করছে জেনেও সেই ভুল আঁকড়ে থাকে। ফলে এদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে এরা নিজেরাই দায়ী থাকে। তা সত্ত্বেও এরা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দোষারোপ করে। এরা সবার সঙ্গে মিশতে পারে না। অনেকটা একাকী জীবনযাপন করে। ফলে হাজার কষ্ট হলেও বলার মতো কাউকে পায় না। ভিতরে ভিতরে জ্বলতে থাকে, যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। হাত সামান্য নরম হলে এই প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাস্তু জমির আকৃতি কেমন থাকলে ধনাগম বা ধননাশ হয় জেনে নিন