জ্যোতিষ বিজ্ঞান মতে, পৃথিবীর চতুর্দিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চন্দ্রের ২৮ দিন লাগে। চন্দ্র ও পৃথিবী ঘূর্ণনের ফলে চন্দ্র ক্রমশ দৃশ্যমান হতে হতে ১৫ দিনে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয় যাকে পূর্ণিমা বলে এবং পরবর্তী ১৫ দিন পর সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয় যাকে অমাবস্যা বলে।
যে একক সময়ে চন্দ্রের এরকম হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, তাকে প্রতিপদ, দ্বিতীয়া আদি তিথি বলে। অমাবস্যার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিন শুক্ল পক্ষ এবং পূর্ণিমার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত ১৫ দিন কৃষ্ণ পক্ষ নামে পরিচিত।
শুক্ল পক্ষের তিথির নাম- ১) প্রতিপদ, ২) দ্বিতীয়া, ৩) তৃতীয়া, ৪) চতুর্থী, ৫) পঞ্চমী, ৬) ষষ্ঠী, ৭) সপ্তমী, ৮) অষ্টমী, ৯) নবমী, ১০) দশমী, ১১) একাদশী, ১২) দ্বাদশী, ১৩) ত্রয়োদশী, ১৪) চতুর্দশী ও ১৫) পূর্ণিমা।
কৃষ্ণ পক্ষের তিথির নাম- ১৬) প্রতিপদ, ১৭) দ্বিতীয়া, ১৮) তৃতীয়া, ১৯) চতুর্থী, ২০) পঞ্চমী, ২১) ষষ্ঠী, ২২) সপ্তমী, ২৩) অষ্টমী, ২৪) নবমী, ২৫) দশমী, ২৬) একাদশী, ২৭) দ্বাদশী, ২৮) ত্রয়োদশী, ২৯) চতুর্দশী ও ৩০) অমাবস্যা।
তিথিসমূহকে আবার পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয়, যথা- নন্দা, ভদ্রা, জয়া, রিক্তা ও পূর্ণা।
১। প্রতিপদ, ষষ্ঠী ও একাদশীকে নন্দা।
আরও পড়ুন: জন্ম তথ্য জানা নেই? কর্মক্ষেত্রে সমস্যা? সামাধান মিলবে এই টোটকায় (দ্বিতীয় পর্ব)
২। দ্বিতীয়া, সপ্তমী ও দ্বাদশীকে ভদ্রা।
৩। তৃতীয়া, অষ্টমী ও ত্রয়োদশীকে জয়া।
৪। চতুর্থী, নবমী ও চতুর্দশীকে রিক্তা।
৫। পঞ্চমী, দশমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমাকে পূর্ণা বলে।