যাদের র্যাশন্যাল থট নম্বর ৫ (পাঁচ): এরা চিন্তা ও ভাবনায় খুব তাড়াতাড়ি যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। চিন্তাভাবনায় বেশ নমনীয়। এদের মারাত্মক কথা বলার শক্তি। সকলের সঙ্গেই খাপ খাইয়ে নিয়ে যে কোনও কঠিন সমস্যার সমাধান করে থাকে। এরা সহজে কারও বিরোধিতা করে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে না।
যাদের র্যাশন্যাল থট নম্বর ৬ (ছয়): এরা ধীরস্থির ভাবে সবার কথা শোনে। এরা সকলের সঙ্গে, অর্থাৎ চারপাশে যাদের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকে তাদেরকে সব সময় পজিটিভ ভাবে পরিচালিত করে থাকে। এরা সমস্যা সমাধানের জন্য সব কিছুর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এর ফলে মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলে। এরা সব সময় নিয়ম মেনে চলতে চায়। সোজা কথায় এদের বাস্তববাদী ভাবধারায় চলা উচিত।
যাদের র্যাশন্যাল থট নম্বর ৭ (সাত): এরা গভীর ভাবে চিন্তা করতে পারে। মানবকল্যাণে সমাধান দিতে পারে। কিন্ত ব্যক্তিগত জীবনে এরা কেউ সুখী নয়, প্রত্যেকেই কমবেশি অতৃপ্ত ব্যক্তিত্ব। এরা চিন্তা বা মননে খুব গভীরে যেতে পারে।
যাদের র্যাশন্যাল থট নম্বর ৮ (আট): সাবজেক্টিভ চিন্তাধারায় এরা বেশ পটু, কিন্তু অবজেক্টিভ চিন্তায় এরা তত নিখুঁত নয়। সূক্ষ্মতা কম। এক হিসেবে ভিশনারি, ভবিষ্যৎকে সহজেই পড়তে পাড়ে, বুঝতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতেও পটু। এরা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল পেয়ে থাকে, বিশেষ করে জাগতিক কাজকর্মে।
আরও পড়ুন: আপনি কী ভাবে ভাবেন বলে দেওয়া যায় এই ভাবে (প্রথম পর্ব)
যাদের র্যাশন্যাল থট নম্বর ৯ (নয়): এরা চিন্তায় ও মননে সব সময় আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন। এরা আদর্শবাদী বা উচ্চতর নৈতিকতায় বিশ্বাসী, কিন্তু নৈতিকতার চেয়ে এদের কাছে আত্মা বা আধ্যাত্মিকতার মূল্য সব কিছুর থেকে বেশি। এরা কোনও ধর্মীয় গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী নয়, সেই অর্থে এরা ইনটিউশন বা বোধি জগতের লোক। এরা বিশ্বপ্রকৃতি, বিশ্বমন, এই সব উচ্চতর ভাবনায় বিশ্বাসী। এরা সব সময় চায় কীসে মানুষের কল্যাণ হবে। এরা সহজেই আসন্ন বিপদ সম্বন্ধে টের পেয়ে যায়, এরা ভাল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এরা কোনও চিন্তায় লজিক্যাল ভাবে না গিয়ে প্রসেস অব এলিমিনেশনের সাহায্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছয়। এরা হৃদয়বান মানুষ।