ভাগ্যরেখাকে করবিদরা ‘লাইন অফ ফেট’ আখ্যা দিয়েছেন। আসলে পারিপার্শ্বিক প্রভাবের উপর এই রেখার গতিপ্রকৃতি বহুলাংশে নির্ভরশীল। দেখে নেওয়া যাক করতলে ভাগ্যরেখা বা শনি রেখা নানা অভিমুখে কী ফল দেয়-
১। ভাগ্যরেখা যদি শনি পর্বতকে অতিক্রম করে বৃহস্পতি পর্বতে পৌঁছয়, তবে জাতক/জাতিকার উচ্চাভিলাষা পূর্ণ হয়ে থাকে।
২। ভাগ্যের রেখাটি যদি শনি পর্বতে পৌঁছনোর আগেই শেষ হয়ে যায়, তবে জাতক যোগ্যতা অনুসারে রোজগার করতে পারে না।
৩। ভাগ্যরেখা যদি ত্রিধারায় বিভক্ত হয় এবং দু’টি শাখার মধ্যে একটি বৃহস্পতি ও রবির দিকে প্রসারিত হয়, তবে পূর্ণ সৌভাগ্য সূচিত হবে। তবে ভাগ্যরেখাকে অবশ্যই উত্তম হতে হবে এবং এর সঙ্গে হাতটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং উপাদানগত দিক দিয়ে ঠিক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: সঠিক ভাবে এই যন্ত্রের ব্যবহার এনে দেবে আর্থিক সাফল্য
৪। আবার এই শনিরেখাটি যদি ত্রিশূল আকারে শনি পর্বতের মধ্যেই থাকে, তা হলে জাতক সন্ন্যাস গ্রহণ করবে।
৫। ভাগ্যরেখা থেকে কোনও শাখারেখা নিম্নমুখী হয়ে চন্দ্র বা শুক্রের ক্ষেত্রের দিকে গমন করলে জাতক শেষ বয়সে নানা দুর্ভাগ্যেরশিকার হয়।
৬। ভাগ্যরেখা যদি গোড়ায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়, তবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তা সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের সূচক হয়।
৭। অনেক সময় দু’টি ভাগ্যরেখা দুই ভাবে আয়ের সূচক হয়। আবার অনেক সময় হাতের প্রধান রেখায় যব, শৃঙ্খলের মতো দেখা যায়। এর সঙ্গে ভাগ্যরেখা যদি ভাল না থাকে এবং আয়ুরেখার ভিতর দিয়ে সক্রিয় মঙ্গলের ক্ষেত্রে থেকে কোনও তীরের মতো রেখা ভাগ্যরেখাকে কর্তন করে, তবে সেই সময় জাতকের পরিবারের দিক দিয়ে প্রতিকূল অবস্থার সূচক হবে বলে ধরে নিতে হবে।
৬। ভাগ্যরেখা যদি গোড়ায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়, তবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তা সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের সূচক হয়।
৭। ভাগ্যরেখায় ক্রশ চিহ্ন থাকলে ঝঞ্ঝাটের মধ্য দিয়ে জীবনে পরিবর্তন আসে।
৮। অনেক সময় দু’টি ভাগ্যরেখা দুই ভাবে আয়ের সূচক হয়। আবার অনেক সময় হাতের প্রধান রেখায় যব বা শিকলের মতো থাকতে দেখা যায়। এর সঙ্গে ভাগ্যরেখা যদি ভাল না থাকে এবং আয়ুরেখার ভিতর দিয়ে সক্রিয় মঙ্গলের ক্ষেত্র থেকে কোনও এবড়ো-খেবড়ো রেখা ভাগ্যরেখাকে কর্তন করে, তবে সেই সময় জাতকের পরিবারের দিক দিয়ে প্রতিকূল অবস্থার সূচক হবে বলে ধরে নিতে হবে।