গ্রাফিক তিয়াসা দাস।
বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের এই উপায় করার জন্য কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন। একটি লাল রঙের পদ্মফুল, ৫টি অশ্বত্থ গাছের পাতা, একটি সাদা কড়ি, অল্প সিঁদূর, অল্প লাল সুতো এবং রুমালের সাইজের লাল কাপড়।
এখন দেখে নেওয়া যাক উপায়টি কী ভাবে পালন করবেন-
যে কোনও শুক্রবার থেকে এই উপায় শুরু করতে হবে।
শুক্রবার সকালে যে কোনও অশত্থ গাছ থেকে পাঁচটি পাতা নিয়ে আসুন।
সেগুলো প্রথমে সাধারণ জলে তারপর গঙ্গা জলে ধুয়ে নিন।
শুক্রবার সকালে স্নানের পর শুদ্ধ কাপড় পরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিজেকে ও জিনিসগুলোকে শুদ্ধ করে নিয়ে ঠাকুরের সামনে বসুন।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী মহিলাদের কেমন সাজগোজ করা উচিত
প্রথমেই পদ্মফুলটির পাপড়িগুলো ছড়িয়ে নিয়ে তার ভিতরে সাদা কড়িটিকে সিঁদুর মাখিয়ে সেটি রেখে পদ্মফুলটি বন্ধ করে দিন। অর্থাৎ পাপড়িগুলোকে আবার আগের মতো বুজিয়ে দিন।
এর পর পদ্ম ফুলটি ও পাঁচটি অশ্বত্থ পাতা ওই লাল কাপড়ের মধ্যে রেখে ভাল করে লাল সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। তারপর এই পুটুলিটি মা লক্ষ্মী বা লক্ষ্মী–নারায়ণ অথবা ইষ্ট দেব-দেবির ছবি বা মূর্তীর সামনে রাখুন। ধূপ ও দীপ জ্বালান এবং তাঁদের স্মরণ করুন ও নিজের মনের কষ্ট বলুন।
তারপর ধূপ ও দীপ দেখান। পুঁটলিটি প্রথম অবস্থাতেই রেখে দিন।
এরপর প্রতিদিন নিজের মনের কষ্ট বলবেন এবং ধূপ ও দীপ দেখাবেন।
মহিলারা পিরিয়ডের দিনগুলোতে এই উপায় করবেন না।
শুরুর দিন থেকে পর পর সব মিলিয়ে ১৫ দিন ধূপ ও দীপ দেখাতে হবে।
১৬ দিনের মাথায় পুঁটলিটি খুলে পদ্মফুলটি বের করে নিন ও সেটি খুলে সিঁদুর মাখানো কড়িটি বের করে নিন।
তারপর পদ্মফুলটি ও অশ্বত্থ পাতাগুলো ওই লাল কাপড়ে বেঁধে নদীতে অথবা পুকুরে বিসর্জন দিয়ে দিন।
সিঁদুর মাখানো কড়িটি লাল কাপড়ে বেঁধে আলমারিতে রেখে দিন।
বিঃ দ্রঃ- প্রয়োজন অনুসারে আবার এই উপায়টি তিন মাস বা ছয় মাস অথবা এক বছর পর করতে পারেন। তখন পুরনো কড়িটি বিসর্জন দিয়ে নতুন কড়িটি রেখে দেবেন।