আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার বা মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতে বিপত্তারিণী ব্রত করা হয়। স্ত্রীলোকেরা মনে মনে যা চেয়ে এই ব্রত করেন, তাঁদের সেই মনস্কামনা সফল হয়। এই ব্রত পালন করলে সংসারের সব বিপদ কেটে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ১৪২৬ সনের বিপত্তারিণী পূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:
বাংলা তারিখ: ২১ আষাঢ় ১৪২৬, শনিবার।
ইং তারিখ: ০৬/০৭/২০১৯।
অথবা
বাংলা তারিখ: ২৪ আষাঢ় ১৪২৬, মঙ্গলবার।
ইং তারিখ: ০৯/০৭/২০১৯।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:
বাংলা তারিখ: ২০ আষাঢ় ১৪২৬, শনিবার।
ইং তারিখ: ০৬/০৭/২০১৯।
অথবা
বাংলা তারিখ: ২৩ আষাঢ় ১৪২৬, মঙ্গলবার।
ইং তারিখ: ০৯/০৭/২০১৯।
এই দেবী লোকজ হলেও দেবীর উৎপত্তি কিন্তু সেই দশভুজা। মা দুর্গার এক রূপ হলেন বিপত্তারিণী। সংসারের সঙ্কটমোচনে মেয়েদের ভরসার জায়গা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথি অর্থাৎ রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে কোনও মঙ্গলবার বা শনিবার এই পুজো করা হয়।
ব্রতপালনের উপকরণ: ঘট‚ আমের পল্লব‚ শীষ সমেত ডাব, একটি নৈবেদ্য‚ ১৩ রকম ফুল‚ দু’ভাগে কাটা ১৩ রকম ফল। আলাদা চুবড়িতে ১৩টা গোটা ফল‚ ১৩ গাছি লাল সুতো‚ ১৩টি দূর্বা‚ ১৩টি পান ও ১৩টি সুপুরি দিতে হয়।
বিপত্তারিণীর মন্ত্র:
মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যেশিবে সর্বার্থসাধিকে শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।
ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার করলে ভাল। ব্রতের দিন পুজো করে ব্রতকথা শুনে ফল-মিষ্টি বা লুচি খেয়ে উপোস ভাঙেন ভক্তরা। লাল সুতোয় তেরোটি গিঁট দিয়ে তেরোটি দূর্বা বাঁধতে হয় মেয়েদের বাম ও ছেলেদের ডান হাতে। যজমানের সাধ্যমতো দানদক্ষিণা পান পূজারী ব্রাহ্মণ।