সপ্তম পতির স্থিতি বিবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠ পতি যদি ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে থাকে, তা হলে প্রায়ই বিবাহ জীবন কষ্টকর হয়। বিবাহিত জীবন কষ্টকর বা বিবাহে বিলম্বের ক্ষেত্রে শনিদেবই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেন। এ বার দেখে নেওয়া যাক গ্রহের কোন কোন যোগে বিবাহে বিলম্ব আসে।
১) লগ্নে বৃহস্পতি, শুক্র এবং বুধ বক্রী থাকলে।
২) বুধ এবং কেতু লগ্নে থাকলে।
৩) সপ্তমপতি জন্মলগ্ন অথবা সপ্তম ভাবে ত্রিকোণ ভাবে (ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ ভাব) অর্থাৎ জন্মলগ্ন থেকে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও অষ্টম অথবা দ্বাদশ ভাবে থাকলে বিবাহে বিলম্ব আসতে পারে।
৪) সপ্তমে শনি এবং কেতু থাকলে।
৫) অষ্টম পতি সপ্তমে থাকলে অথবা সপ্তম পতি যদি অষ্টমে থাকে।
৬) ষষ্ঠ ভাবে যদি শনি থাকে এবং অষ্টম ভাবে যদি রবি এবং অষ্টম পতি যদি দুর্বল থাকে, তা হলে বিবাহে বিলম্ব হয়।
৭) রবি, রাহু এবং দুর্বল চন্দ্র সপ্তম ভাবে থাকলে।
আরও পড়ুন: আপনার সম্বন্ধে অনেক কিছু বলা যায় শুধুমাত্র নাম আর জন্মদিন থেকেই!
৮) শনি যদি সপ্তম ভাবে স্বগৃহে এবং যদি রবি থেকে সপ্তমস্থ থাকেন, তা হলে বিবাহে বাধা অবশ্যই আসবে।
৯) শনি সপ্তমে থাকলে অথবা সপ্তমে দৃষ্টি থাকলে অথবা সপ্তম পতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে অথবা সপ্তম পতির ওপর দৃষ্টি থাকলে।
১০) রবি যদি সপ্তম ভাবে থাকে, আর শনির যদি তার ওপর দৃষ্টি থাকে অর্থাৎ শনি যদি লগ্নে পঞ্চম ভাবে অথবা দশম ভাবে থাকে, তা হলে বিবাহে বাধা আসতে পারে।
১১) সপ্তমে পাপগ্রহ থাকলে অথবা সপ্তম পাপদৃষ্ট হলে।
১২) রবি এবং শনি সম্বন্ধ লগ্নে থাকলে বিবাহে বাধা আসবে।
১৩) চন্দ্র সপ্তম ভাবে এবং শনি লগ্নে থাকলে অথবা সপ্তম ভাবে শনি এবং চন্দ্রের যোগ বিলম্বিত বিবাহের কারক।