দাম্পত্য জীবনে বিবাহ মাসের কি কোনও গুরুত্ব আছে (দ্বিতীয় অংশ)

আপনার বিয়ে যদি ২৩ জুলাই থেকে ২২ অগস্টের মধ্যে হয়: এই সময়কালে বিয়ে হলে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একটা আভিজাত্য ভাব কাজ করে।

Advertisement

কৃষ্ণপ্রেম

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০০:০০
Share:

আপনার বিয়ে যদি ২৩ জুলাই থেকে ২২ অগস্টের মধ্যে হয়: এই সময়কালে বিয়ে হলে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একটা আভিজাত্য ভাব কাজ করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অভিমত দেওয়ার ব্যাপারে তীব্রতা থাকে, কথা বলার ক্ষেত্রে সুস্পষ্টতা থাকে, অর্থাৎ যে যা বলে তার থেকে একচুলও নড়ে না। এরা দৃঢ় ভাবে মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারে। কোনও রাখঢাক না থাকার ফলে ভবিষ্যতে দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে। তাই এই সময়ে যাঁরা বিয়ে করেছেন তাঁদের পরামর্শ, আপনারা কখনও কেউ কারও ‘বস’ হওয়ার চেষ্টা করবেন না।

Advertisement

যদি আপনার বিয়ে হয় ২৩ অগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে: এই সময়ে যাঁরা বিয়ে করেছেন তাঁরা বিবাহিত জীবনে অত্যধিক পরিমাণে সব কিছুর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। স্বামীরা স্ত্রীর সব কিছু তীক্ষ্ণ নজরে দেখেন, তাঁর একটু কষ্ট হলে বিচলিত হয়ে পড়েন। স্ত্রী হলে আপনি স্বামীর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখেন, তাঁর যত্নের ঘাটতি হলে আপনি হয়তো বিশেষ ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন, যেটা না ভাবলেও এমন কিছু ক্ষতি হত না। তবে এই ভাবে ‘ওভার রিঅ্যাক্ট’ করাটার ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবনে বিবাহের মাসের কি কোনও গুরুত্ব আছে (প্রথম অংশ)

Advertisement

যদি আপনার বিয়ে হয় ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে: পাশ্চাত্যে বছরের অধিকসংখ্যক বিয়ে এই সময়ে হয়ে থাকে, তাই অক্টোবর মাসকে বিয়ের মাস বলা হয়। এই সময়ে সব চেয়ে বেশি বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও, আশ্চর্যজনক ভাবে এই সময়ের বিয়েগুলি কেমন যেন ভারসাম্যহীন বিয়ে বলে মনে করা হয়ে থাকে। এই বিয়েগুলিতে অনেক ক্ষেত্রে দাম্পত্য সম্পর্কটা অনেকটা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’-এর মতো। স্বামী মনে করে তার এর বেশি করা উচিত নয়। একই ভাবে স্ত্রী মনে করে তারও স্বামীর প্রতি অনেক বেশি করা হয়েছে, বিনিময়ে সে কিছুই পায়নি। এই সময়ের বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী তাদের নিজের নিজের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র যদি রক্ষা না করতে পারে, তা হলে তাদের বিপদে পড়তে হয়।

যদি আপনার বিয়ে ২৩ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে হয়: এই সময়ের বিয়েতে সাধারণ ভাবে ভিতর ভিতর প্রবল ভাবে যৌনতা প্রভাব ফেলে। সেই সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতায় থাকে টানাপড়েন। এই সময়ের দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাবাবেগ বা আবেগপ্রবণতা কাজ করে চলে। তবে তার মধ্যে যারা রোমান্সকে ধরে রাখতে পারে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বছরের পর বছর টিকে থাকবে, এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। এই সময়ের বিয়ে মানে স্বামী বা স্ত্রী মধ্যে প্রভাব বিস্তারের ও শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রবল ঈর্ষা প্রধান হয়ে তাদেরকে গিলে ফেলে। তাই মনে রাখতে হবে, কেউ যদি ভুল করে তার জীবনসঙ্গীকে আঘাত দিয়ে আহত করে থাকে, তা হলে তৎক্ষণাৎ তা স্বীকার করে, কথা বলে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে রেষারেষি যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করা যায় ততই দাম্পত্য সম্পর্ক জটিলতা থেকে মুক্তি পাবে।

(ক্রমশ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement