জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সপ্ত বারের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবাহ শুভ। রবি, মঙ্গল ও শনি বারে বিবাহ হলেবিবাহ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অমাবস্যা ও রিক্তায় (চতুর্থী, নবমী ও চতুর্দশী) বিবাহ অশুভ। তবে শনি বার রিক্তা তিথিতে বিবাহ শুভ।
রেবতী, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, মৃগশিরা, মূলা, অনুরাধা, মঘা, হস্তা ও স্বাতী এই সব নক্ষত্রে বিবাহ শুভ।
ব্যতীপাত, পরিঘ, বৈধৃতি, অতিগ, ব্যাঘাত, হর্ষণ, শূল, গ, বিকুম্ভ এবং বজ্র যোগ ভিন্ন অন্নযোগে বিবাহ প্রশস্ত।
আরও পড়ুন : অফিসের টেবিলে বা ঘরে রুপোর হাতির মূর্তি রাখলে কী ফল পাওয়া যায় জানেন?
শকুনি, চতুষ্পাদ, নাগ, কিন্তঘ্ন ও বিষ্টি করণে বিবাহ নিষিদ্ধ।
বারোটি মাসের মধ্যে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও অগ্রহায়ণ মাসে বিবাহ প্রশস্ত। তবে অরক্ষণীয়া কন্যার নক্ষত্রে পৌষ ও মাঘ মাসেও বিবাহ প্রশস্ত।
লগ্নের ক্ষেত্রে কন্যা, তুলা, মিথুন ও ধনু লগ্নের পূর্বাংশে বিবাহ শুভ।
বিবাহের সময় লগ্ন, পঞ্চম, নবম ও দশমে বৃহস্পতি থাকলে সুতাহিবুক যোগ হয়।
গর্গ মুনির মতে, জন্মদিনে কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে জন্মমাসে বিবাহ প্রশস্ত।
জন্মদিনের আট দিন পার করে কন্যার বিবাহের বিধান আছে।
কন্যার ক্ষেত্রে জন্মবার, জন্ম নক্ষত্র ও জন্মরাশিতেও বিবাহ প্রশস্ত।
জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাসে জেষ্ঠ্য পুত্র বা কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহ প্রশস্ত।
জন্মদিন, জন্মবার, জন্মমাস, জন্মনক্ষত্র ও জন্মরাশিতে পুরুষের বিবাহ নিষিদ্ধ। সুতাহিবুক যোগে লগ্নের গ্রহসংস্থান জনিত সকল দোষ নাশ হয়।
যে সময় শুভ লগ্ন থাকে না, আবার বিবাহ কার্যও আবশ্যক হয়ে পড়ে, তখন গোধুলি লগ্নে বিবাহ প্রশস্ত।
গোধুলি লগ্নে বিবাহে বার, তিথি, নক্ষত্র, বিষ্টিভদ্রা প্রভৃতি দোষ থাকলেও বিবাহ অশুভ হয় না।
বিবাহের প্রশস্ত মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে এবং শনি ও বৃহস্পতি বার গোধুলি লগ্নে বিবাহ নিষিদ্ধ।