হাতে প্রেমের রেখা দেখে প্রেম করুন, না হলেই সমস্যা

জন্মকুণ্ডলীতে যদি প্রেম থাকে, আর হাতে যদি প্রেমের রেখা না থাকে, তা হলে জীবনে প্রেম আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share:

(১) দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, করতলে প্রেমের রেখা না থাকলে প্রেম হয় না। খুব গভীর বন্ধুত্ব হতে পারে, কিন্তু প্রেম নয়। চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে যে আনুভূমিক রেখাগুলি ভাগ্যরেখাকে ছুঁতে যায়, তারাই প্রেমের লাইন। যে কেউ এই রেখাকে চিনে নিতে পারবেন। যে কোনও একটি হাতে বা দু’হাতের করতলে এই প্রেমের রেখা না থাকলে শত চেষ্টা করলেও প্রেম হয় না।

Advertisement

(২) জন্মকুণ্ডলীতে যদি প্রেম থাকে, আর হাতে যদি প্রেমের রেখা না থাকে, তা হলে জীবনে প্রেম আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

(৩) করতলে প্রেমের রেখা আছে কিন্তু জন্মছকে গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী প্রেমের উল্লেখ নেই, তা হলে নিশ্চিত থাকুন প্রেম হবেই।

Advertisement

(৪) তবে এই রকমও ঘটে, করতলে প্রেমের রেখা আছে, অথচ একটাও প্রেমের সুযোগ আসেনি। কেন হয়নি, এর উত্তর জানা নেই, এটা প্রহেলিকা। তবে এ ভাবে বলা যায়, এ রকম ঘটনা লাখে একটা ঘটে।

আরও পড়ুন: জন্মতারিখ বলে দেবে আপনি পূর্বজন্মে কী ছিলেন (পঞ্চম অংশ)

(৫) করতলে প্রেমের রেখা থাকলে সেই প্রেম বিবাহে রূপান্তরিত হবে কিনা, সেটা বিবাহ রেখা দেখে বলতে হবে। আর বিবাহ রেখা অনুমোদন দিলে তবেই বলা যাবে সেই প্রেম বিবাহে রূপান্তরিত হবে কি না।

(৬) কী ভাবে চিনবেন প্রেমের রেখাগুলিকে? আমরা আগেই চন্দ্র এবং মঙ্গলের মাউন্ট বা ক্ষেত্রগুলি চিনে ফেলেছি। চন্দ্র বা মঙ্গলের ক্ষেত্র যে আনুভূমিক রেখাগুলি ভাগ্যরেখার দিকে যায় এবং ভাগ্যরেখার সঙ্গে মিলে যায় বা অনেককাল ভাগ্যরেখার পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে চলে, তাকেই প্রেমের রেখা বলে। এর সঙ্গে জোরালো বিবাহ রেখা থালে তবেই বিবাহ হয়। তবে আরও অনেকগুলি ফ্যাক্টর সেই সঙ্গে কাজ করে।

(৭) সব সময় মনে রাখতে হবে প্রেমের রেখা ও ভাগ্যরেখাই প্রেম বিচারের মূল চাবিকাঠি, অন্য রেখা দেখে প্রেম বিচার করতে যাওয়া একেবারে ভুল।

(৮) যদি প্রেমের রেখা ভাগ্যরেখাকে স্পর্শ না করে বা মিলিত না হয়, তবে প্রেম কোনও দিনই বিবাহে রূপান্তরিত হবে না। অনেক সময় পরিণত আত্মার ক্ষেত্রে এই রূপ হয়ে থাকে।

(৯) চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে যে প্রেমের লাইন ভাগ্য রেখার দিকে যায়, তাতে যদি এক বা একাধিক চিহ্ন থাকে, তবে যে প্রেম করতে আসছে, তার মধ্যে দুর্ভাগ্য জড়িত আছে। তার চরিত্র সেই অর্থে খুব ভাল নয়।

(১০) যদি প্রেমের লাইনটি খুব গাঢ় ও সুগঠিত হয়, তবে যে প্রেম করতে আসছে তার প্রভাব জাতক/জাতিকার থেকে অনেক বেশি হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরা জাতক/জাতিকার সঙ্গে প্রেম করবে এবং জাতক/জাতিকার জীবনকে কোনও না কোনও দিক দিয়ে ধ্বংস করে দিয়ে যাবে।

(১১) যেখানে ভাগ্যরেখায় চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে আসা প্রেমের রেখা মিশে গিয়েছে, তারপর ভাগ্য রেখাটি যদি দুর্বল থাকে, অস্পষ্ট থাকে বা ভাগ্যরেখায় যব চিহ্ন থাকে, তা হলে বুঝতে হবে বিয়ের পরই প্রেমবিবাহে ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হবে। এই খারাপ সময় তত কালই থাকবে যত কাল ভাগ্যরেখাটি দুর্বল থাকবে। ওই সময় পেরিয়ে গেলে আবার সব কিছু সুন্দর ভাবে চলবে। আর যদি দেখা যায় যে, ভাগ্যরেখা পুরোপুরি দুর্বল, তবে ধরেই নিতে হবে, এ জীবনে কর্মের ফলস্বরূপ প্রেম বিবাহ দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছে।

বিবাহ রেখা খারাপ থাকলে ডিভোর্সের দিকে যাবে। ভাগ্যরেখায় প্রেমের রেখা মিলিত হওয়ার পর যব চিহ্ন থাকলে বোঝায় অল্প বয়সের দিকে ঘটলে (ভাগ্যরেখা দেখে বয়স নির্ণয় করতে হবে), বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে চরিত্রহনন বোঝায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে অবৈধ প্রেম থেকে দুর্নাম কেনা বোঝায়। অনেক ক্ষেত্রে এই প্রেমগুলি নিকট আত্মীয়দের মধ্যে হয়।

(১২) আবার এমন হয়, প্রেমের রেখা ভাগ্যরেখাকে স্পর্শ করার পর ভাগ্যরেখাকে কেটে বেরিয়ে গেল, এই ক্ষেত্রে এই জীবনে প্রেম হতে হতেও হবে না। এটি অসমাপ্ত প্রেম, খুব উচ্চমানের আত্মার ক্ষেত্রে অনেক সময় এ রকম হয়ে থাকে। পরের জন্মে এই প্রেম আবার শুরু হবে।

(১৩) অনেক সময় চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে এই প্রেমের রেখা শুরু না হয়ে চন্দ্রের একটু উপরে মঙ্গলের ক্ষেত্র থেকে শুরু হয়ে ভাগ্যরেখার সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে। এটি একটু অন্য ধরনের প্রেম বা উচ্চমানের প্রেম। যেমন বয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষের সঙ্গে প্রবল ঘনিষ্ঠতা। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে গুরুলাভ বোঝায় বা সে রকম কোনও আধ্যাত্মিক জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ বোঝায়। তবে এটি ঘটে খুব বেশি বয়সে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement