রাশিচক্রের ষষ্ঠ নক্ষত্রের নাম আর্দ্রা। এই নক্ষত্রের অধিপতি দেবতা হলেন রুদ্র বা মহাকাল। মহাকাল অর্থ শিব। মিথুন রাশির অন্তর্গত এই আর্দ্রা নক্ষত্র। এই নক্ষত্র রত্নের মতো উজ্জ্বল।
দেহের গঠন
শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের অদিপতি হলেন আর্দ্রা নক্ষত্র। এই নক্ষত্রের শারীরিক গঠন তার পরিবেশের ওপর নির্ভর। অর্থাৎ কেউ খুব রোগা পাতলা, আবার কেউ খুব মোটাসোটা বিশালাকার চেহারার। হাত-পা একটু বেশি সরু হয়। এদের কেউ হয় কালো আবার কেউ হয় ফর্সা, কিন্তু এদের চেহারার মধ্যে খুব আকর্ষণীয় ভাব থাকে। চোখ, নাক খুব সুন্দর হয়, চুল কোঁচকানো এবং এরা সাজগোজ খুব পছন্দ করে।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
এরা মানুষের মনের কথা খুব তারাতারি বুঝতে পারে, এবং বন্ধুদের কাছে খুব প্রিয় ব্যক্তি হয়। এরা প্রায় সব কাজেই সফলতা পায়। এত গুনের অধিকারি হওয়া সত্ত্বেও মাঝে মাঝে অত্যধিক স্বার্থপর হয়ে ওঠে এবং আত্মীয়স্বজনদের প্রতি হিংসা মনোভাব প্রকাশ করে। এরা খরচ করতে খুব ভালবাসে। এই নক্ষত্রের জাতকদের বুদ্ধি হয় প্রখর। একটু অস্থির ও কৌতূহলী মানসিকতার জন্য কোনও কিছু ঠিক করে করতে সক্ষম হয় না।
পারিবারিক জীবন
এদের খুব অল্প বয়সে বিবাহ হয়, কিন্তু পুরুষদের বিবাহ একটু দেরিতে হয়। অন্যের মতে চলার জন্য সংসারে প্রচুর অশান্তি ভোগ করতে হয়। দুজনের মধ্যে একটু সন্দেহ ভাব থাকে। সব মিলিয়ে বিবাহ জীবন মোটামুটি বলা চলে।
পেশা
এরা যদি পেশা হিসেবে ডিটেকটিভ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, পরিবহন এবং কোনও এজেন্সির কাজে নিযুক্ত হন তাহলে উন্নতি করতে পারবেন। এদের শিল্প সম্পর্কেও উৎসাহ থাকে তাই শিল্পেও উন্নতি হতে পারে।
রোগ
কান, নাক, গলার সমস্যায় ভোগান্তি হয়। এদের শরীরে প্রচুর অস্ত্র প্রচার হয়। এই নক্ষত্রের জাতিকাদের গুপ্ত রোগের সম্ভাবনা থাকে। ছোটখাটো রোগ প্রায় লেগেই থাকে। হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।