প্রতীকী ছবি।
রাশিচক্র বিচারের মাধ্যমে জাতক জাতিকা জীবনে মামলা মোকদ্দমায় কতটা কষ্ট পাবে বা ঝামেলায় জড়াবে তা অনুমান করা যায়। দ্বাদশ ভাবের মধ্যে অন্যতম হল অষ্টম ভাব। যদি এই অষ্টম ভাবে অশুভ গ্রহ অবস্থান করে বা অষ্টম ভাব যদি দুর্বল হয়, তা হলে তাদের বিচারের প্রয়োজন। কোন গ্রহের অবস্থান কোথায় থাকলে মামলা মোকদ্দমা হতে পারে, নীচে আলোচনা করা হল-
• মঙ্গল যদি পাপগ্রহ দ্বারা আক্রান্ত, পীড়িত বা দৃষ্ট হয়।
• মঙ্গল যদি লগ্নে, ষষ্ঠে, অষ্টমে বা দ্বাদশ স্থানে থাকে।
• রবি যদি নীচস্থ হয় বা অষ্টম এবং দ্বাদশ ভাবে থাকে।
• রাহু, মঙ্গল, শনি যদি একত্রে অশুভ স্থানে থাকে।
• ধনপতি এবং আয়পতি গ্রহ ষষ্ঠ, অষ্টম, অথবা ব্যয় ভাবগত হলে মামলা মোকদ্দমা ও রাজদণ্ড হয়।
• লগ্নপতি দুর্বল হয়ে পাপযুক্ত হলে।
• দ্বিতীয় পতি রবিযুক্ত হয়ে দ্বাদশ ভাবে বা নীচস্থ বা পাপদৃষ্ট হলে।
• নীচস্থ চন্দ্রের দশায় মামলা মোকদ্দমা বা কারাবাস হয়।
• রাহুর দশা মঙ্গলের অন্তর্দশায় মামলা মোকদ্দমার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: গতজন্মের পাপ এবং সেই অনুযায়ী এই জন্মে তার ফলাফল
• যদি নীচস্থ বৃহস্পতির দশা মঙ্গলের অন্তর্দশা চলে তবে অহেতুক ঝামেলা, মানহানি, পুলিশি সমস্যা হবে।
• কেতুর দশা এবং শনি অথবা মঙ্গলের অন্তর্দশায় মামলা মোকদ্দমা হয়ে থাকে।
• পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশপতি বা অবস্থানকারী গ্রহরা সঙ্গী অর্থাৎ নক্ষত্রে অবস্থান করে।
• অষ্ঠবর্গ ছকে যদি চন্দ্র অশুভ স্থানে থাকে তবে মামলায় ভুগতে হবে।
• অষ্ঠবর্গ মঙ্গল যদি অষ্টম ভাবে থাকে, তবে কারাবাস হয়।
• অষ্ঠবর্গে যদি দ্বাদশ ভাবে রাহু থাকে, তবে জীবনে বহু বার মামলা মোকদ্দমায় ভুগতে হয়।