বিভিন্ন সময় শোনা যায় মাটির নীচ থেকে মূল্যবান জিনিস বা ধাতু প্রাপ্তির কথা। যেমন অনেকে বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে বা পুকুর খুঁড়তে গিয়ে বা মাটি কাটতে গিয়ে মূল্যবান বস্তু বা ধাতু পেয়ে থাকেন।
প্রাচীনকালে ব্যাঙ্ক জাতীয় কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। টাকা বা মূল্যবান ধাতু বা সম্পত্তি নিরাপত্তার কারণে মাটির নীচে বা বাড়ির দেওয়ালের মধ্যে সুরক্ষিত ভাবে রেখে দিতেন অনেকে। এই সব সম্পত্তি অনেক সময় মাটির নীচেই থেকে যেত। পরবর্তীকালে কোনও ভাগ্যবান এই সব সম্পত্তি পেতেন। কে বা কারা এই ধরনের সম্পত্তি পাবেন বা পেতে পারেন এই সম্পর্কিত কিছু যোগের কথা জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই যোগকে বলা হয় ‘পাতাল রাশি প্রাপ্তি যোগ’। যোগের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে পাতাল অর্থাৎ ভূগর্ভ থেকে সম্পত্তি বা মূল্যবান বস্তু প্রাপ্তি যোগ।
কখন এই যোগ সৃষ্টি হয়? জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নের দ্বিতীয় রাশি এবং চতুর্থ রাশির অধিপতির সংযোগ হলে এবং নবম রাশির অধিপতি শুভ গ্রহ হলে এই যোগ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: এই রাশির মানুষরা খুব কম বয়সেই প্রচুর অর্থসম্পদের মালিক হয়ে উঠতে পারেন
দ্বিতীয় রাশি সম্পদ, দামি বস্তু, দামি ধাতু নির্দেশ করে। চতুর্থ রাশি গৃহ, ভুমি, স্থাবর সম্পত্তি ইত্যাদি নির্দেশ করে এবং নবম রাশি ভাগ্য নির্দেশ করে। এই তিন রাশির সংযোগ ঘটলে এই যোগের সৃষ্টি হয়।
একাদশ রাশির অধিপতি এবং দ্বিতীয় রাশির অধিপতি একত্রে চতুর্থ রাশিতে অবস্থান করলে এবং চতুর্থ রাশির অধিপতি শুভ গ্রহ হলে এই যোগের সৃষ্টি হয়।
একাদশ রাশি লাভ রাশি। একাদশ রাশি অধিপতি লাভ বা আয় পতি। দ্বিতীয় রাশি অধিপতি সম্পদ, বা দামি বস্তুর কারক, চতুর্থ অর্থাৎ গৃহ বা স্থাবর সম্পত্তি নির্দেশক। একাদশ রাশির অধিপতি চতুর্থ রাশিতে অবস্থান। চতুর্থ রাশি অধিপতি যখন শুভ গ্রহ তখন এই যোগ সৃষ্টি হয়।
যে কোনও যোগের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়, যোগ কতটা বলিষ্ঠ। যোগ ভঙ্গকারী কোনও বিষয় জন্মকুণ্ডলীতে নির্দেশ করছে কি না? নির্দিষ্ট দশা অন্তর্দশা প্রাপ্তির বিষয় ইত্যাদি, তবেই যোগ ফলপ্রসূ হবে।