অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
আমরা প্রত্যেকেই নির্ধারিত কিছু ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে জন্মাই। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ভাগ্য নির্ণয় হয়ে যায়। যাঁর যেটুকু পাওয়ার তিনি ততটাই পাবেন। আমাদের পূর্বজন্মের কর্মফল অনুযায়ী এই ভাগ্য নির্ধারিত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় এই জন্মের কর্মফল। তবে সব সময় আমরা আমাদের ভাগ্যফল সম্পূর্ণ ভাবে ভোগ করতে পারি না। একটা কথা আছে, ‘পাথর চাপা কপাল’। আমাদের ভাগ্য অনেক সময় ঘুমিয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক, কী ভাবে এই নিদ্রিত ভাগ্যকে জাগিয়ে তোলা যায়।
এই নিদ্রিত ভাগ্যকে জাগিয়ে তোলার জন্য যা দরকার, তা আমাদের শরীরেই বর্তমান। সেটা হল আমাদের নাক। এই নাকের সাহায্যে আমরা আমাদের ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারি। আমরা নাক দিয়ে প্রশ্বাস গ্রহণ করি এবং নিঃশ্বাস ত্যাগ করি। এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্য জাগিয়ে তোলা সম্ভব। ডান নাকের নিঃশ্বাসকে সূর্যস্বর এবং বাম নাকের নিঃশ্বাসকে চন্দ্রস্বর বলা হয়। আমাদের নাকের দুটো ছিদ্র দিয়ে সব সময় একই গতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস চলে না। কখনও দেখা যায় ডান নাক দিয়ে শ্বাস জোর গতিতে চলে, কখনও বা বাম নাক দিয়ে। কোন দিকের ছিদ্র দিয়ে জোরে শ্বাস পড়ছে, সেটা বোঝার জন্য নাকের তলায় হাত রাখুন এবং অনুভব করার চেষ্টা করুন ছিদ্র দিয়ে জোরে শ্বাস পড়ছে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে এই নাসিকার শ্বাসকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের নিদ্রিত ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারি। প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় শুয়ে শুয়ে নিজের নাকের নীচে হাত রেখে অনুভব করুন কোন ছিদ্র দিয়ে বেশি জোরে শ্বাস পড়ছে। ধরুন, বাম নাক দিয়ে জোরে শ্বাস পড়ছে। তা হলে শুয়ে শুয়ে আপনার বাম হাত আপনার পুরো মুখের ওপর বুলিয়ে নিন এবং বিছানা থেকে নামার সময় আপনার বাম পা আগে মাটিতে ফেলুন। এই ভাবে প্রত্যেক দিন সকালে বিছানা থেকে নামার সময় আপনার নাসিকার শ্বাস অনুযায়ী এই ক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার পা মাটিতে ফেলুন। এটাকে প্রত্যেক দিনের অভ্যাস করে ফেলুন। ধীরে ধীরে এর উপকার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এই ক্রিয়া প্রত্যেক দিন করতে করতে আমরা ধীরে ধীরে আমাদের শুয়ে থাকা ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন : ব্যবসার জায়গায় বা বাড়িতে লেবু-লঙ্কা ঝোলানো হয় কেন জানেন?