আমাদের জীবনে যখন যা ঘটনা ঘটে তা শুধুমাত্র ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই ঘটে। এটাও সত্য, যা ঘটার তা ঘটবেই। তা সেটা খারাপ হোক বা ভাল। যদি ভাল হয়, তা হলে তো কোনও সমস্যাই নেই। কিন্তু যদি খারাপ হয়, শত চেষ্টা করেও তা এড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু এর প্রকোপ কিছুটা কমানো যায় যদি জ্যোতিষ বিচারের সঙ্গে আত্মশুদ্ধি ও ধ্যান করা যায়।
আত্মশুদ্ধি ও ধ্যানের মাধ্যমে গ্রহের খারাপ বা অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যখন কোনও রত্ন-কবচ-পুজোয় কাজ হয় না, তখন ধ্যানের মাধ্যমে গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
ধ্যান এমন একটা উপায়, যার মাধ্যমে মানুষ তার মনকে শান্ত ও শক্ত করতে পারে। পিতা, মাতা ও গুরুকে স্মরণ করে আধ্যাত্মিক মন, বিশ্বাস, মানসিক প্রসন্নতা, আত্মবিশ্বাস ও নিয়ম অনুযায়ী মনোসংযোগ করে এটা অভ্যাস করলে সর্বপ্রকার গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি।
আরও পড়ুন: ১০৮ সংখ্যার প্রকৃত মাহাত্ম্য কী জানেন?
ধ্যানের প্রক্রিয়া:
এই ধ্যান প্রক্রিয়া ছাত্রাবস্থায় (ব্রহ্মচর্য আশ্রম), বিবাহিত জীবনে (গার্হস্থ আশ্রম), গৃহস্থ জীবনের পরে (বাণপ্রস্থ আশ্রম)। এবং সব কিছু থেকে সরে গিয়ে (সন্ন্যাস আশ্রম)। এই চার আশ্রম প্রথার মাধ্যমে ধ্যান অভ্যাস করে জগতের সমস্ত ভৌতিক ও আধিভৌতিক ইচ্ছা, দুঃখ, কষ্টকে জয় করা যায়।
০ জন্ম যখন আছে মৃত্যু তখন হবেই। তাই মৃত্যুর পূর্বে ধ্যানের মাধ্যমে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করা এবং এই জন্মের পাপ কমানোর জন্য ধ্যানের মাধ্যমে ভগবানকে স্মরণ করা উচিত।
০ জ্যোতিষ বিচারের নির্দিষ্ট নিয়মে ধ্যান করলে গ্রহের প্রকোপ থেকে একটু হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ধ্যান কয় প্রকার—
০ ধ্যান সাধারণত তিন ভাবে অভ্যাস করা যায়। ১) উদ্দেশ্য নিয়ে ধ্যান (সংকল্প/সকাম ধ্যান), ২) উদ্দেশ্যবিহীন ধ্যান (নিষ্কাম ধ্যান), ৩) প্রার্থনা ধ্যান(নাম স্মরণ ধ্যান)।