জ্যোতিষশাস্ত্রমতে পৃথিবীর সকল জীবের উপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবই তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সৌরমণ্ডলের প্রধান সাতটি গ্রহ ও দু’টি ছায়ার অংশই (যারা রাহু ও কেতু নামে পরিচিত) মূলত জ্যোতিষ শাস্ত্রের মুখ্য আলোচিত বিষয়। কিন্তু তা ছাড়াও কিছু গ্রহ ও জ্যোতিষ্ক রয়েছে, যারা মানুষের জীবনচক্রের উপর শুভাশুভ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। এই গ্রহ ও জ্যোতিষ্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো ও ভাগ্যতারিকা। ভাগ্যতারিকা জ্যোতিষ্কটি কিন্তু প্লুটো নয়। ভাগ্যতারিকার গতি চন্দ্রের চেয়ে অনেক বেশি।
বরুণ বা ইউরেনাস
শনির ঠিক পরেই যে গ্রহটি সৌরমণ্ডলে অবস্থিত সেটির নাম ইউরেনাস। পাশ্চাত্য জ্যোতিষীরা এই ইউরেনাসকে হার্সেল নামেও অভিহিত করেন। এই গ্রহটি স্বক্ষেত্র বা স্বরাশি হল কুম্ভ। উচ্চস্থ বৃশ্চিক, মতান্তরে কন্যা রাশি।
এই গ্রহটি প্রত্যেক রাশিতে ৭ বছর সময় পর্যন্ত অবস্থান করে। উত্তর ভারতের অনেক পণ্ডিত এই গ্রহকে বরুণ নামেও অভিহিত করেন।
আপনার জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নাদি দ্বাদশ ভাবে স্থিতির ফলাফল অনুসারে লগ্নস্থ শুভাশুভ ফল দেখে নেওয়া যাক:
আরও পড়ুন: মাঙ্গলিক দোষের কুপ্রভাব কখন বিবাহিত জীবনে পড়বে না
লগ্নস্থ হার্সেল বা বরুণ
শুভ ফল: জাতকের লগ্নে ইউরেনাস বা হার্সেল শুভ ভাবে অবস্থান করলে জাতক ধার্মিক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। জাতক ধনবান, জ্যোতিষী বা গবেষক হয়ে থাকেন। এঁরা নিজের কর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকেন। এই সব কারণেই জাতক যে কোনও ক্ষেত্রে সহজেই সাফল্য লাভ করতে পারেন।
অশুভ ফল: লগ্নে ইউরেনাস বা হার্সেলে অশুভ অবস্থানের ফলে জাতক জেদি, দাম্ভিক, অস্থির মতির হয়ে থাকেন। জাতক পঙ্গুও হতে পারেন। এই জাতক নিজের ইচ্ছামতো কাজ করে থাকেন। এঁরা পরস্ত্রীকাতরও হতে পারেন। এই জাতকেরা বিভিন্ন স্থানে অসফল যাত্রা করে থাকেন। পেশাগত ক্ষেত্রে এঁরা হয়তো অস্থির ব্যবসায়ী বা খারাপ চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। এঁদের মিতব্যয়ী হওয়া উচিত।