দুর্ঘটনার কথা শোনা যায় প্রতি দিনই। ঘরের ভিতরেও ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এই ছোটখাটো ফাঁড়া দূরীকরণে তুলা রাশির জাতক বা জাতিকারা উপায়টি করে বিশেষ ভাবে লাভবান হতে পারেন। এই প্রক্রিয়া রূপায়ণের জন্য একটি রুমালের আকারের সাদা কাপড়, ১১টি ছোট এলাচ, অল্প চিনি এবং একটি শুকনো নারকেলের প্রয়োজন। এই শুকনো নারকেলে কোনও রকম জল থাকে না এবং এর খোলা অর্থাৎ শক্ত অংশ থাকে না। অনেকে একে হিন্দিতে গড়ি বলে থাকেন।
এখন দেখে নেওয়া যাক তুলা রাশির জাতক-জাতিকা কী ভাবে উপায়টি সম্পন্ন করবেন—
যে কোনও শুক্রবার থেকে এই উপায় শুরু করতে হবে। সে জন্য যে কোনও শুক্রবার সকালে উঠে স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরে প্রথমে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিজেকে এবং সমস্ত জিনিস শুদ্ধ করে নিন। তারপর শুকনো নারকেলটিকে কেটে দু’টুকরো করে নিন। একটি ভাগ বড় রাখবেন। এর পর বড় ভাগটির মধ্যে চিনি ভরে দিন এবং ১১টি এলাচ ভরে দিন। তার ওপর আবার চিনি দিয়ে নারকলের অন্য ভাগটি রেখে দিন।
এ বার চিনি ও এলাচ ভর্তি শুকনো নারকেলটি সাদা কাপড়ে ভাল করে বেঁধে নিন। এ বার সাদা কাপড়ে বাঁধা নারকেলটি ঠাকুরের আসনে রাখা মা লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবির সামনে রাখুন। ইষ্ট দেবদেবীর সামনেও রাখতে পারেন। এ বার নিজের মনের কষ্টের কথা বলুন এবং ধূপ-দীপ দেখান। জিনিসগুলো এই ভাবে রেখে দিন।
আরও পড়ুন: আপনি কি সিংহ রাশির জাতক? জীবনে বাধা আসছে? এই উপায়টি প্রয়োগ করুন
এই ভাবে প্রতি দিন ওঁর কাছে ধূপ ও দীপ দেখিয়ে নিজের মনের কথা বলুন। মহিলারা ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে এই প্রক্রিয়া করবেন না। যে শুক্রবার শুরু করবেন সেই দিন থেকে মোট ৩৩ দিন এটা করবেন। ৩৪ দিনের মাথায় ঠাকুরের আসন থেকে কাপড়ে বাঁধা নারকেলটি নামিয়ে নিয়ে সাদা কাপড়টি খুলে দিন।
নারকেলের ছোট ভাগটি তুলে চিনির মধ্যে রাখা ১১টি এলাচের মধ্যে ১০টি এলাচ তুলে বাইরে রাখুন এবং একটি এলাচ ওর মধ্যে রেখে আবার ঢাকা দিয়ে সাদা কাপড় বেঁধে নদীতে বা পুকুরে বিসর্জন দিয়ে দিন। ১০টি এলাচ তুলে ভাল জায়গায় অথবা ঠাকুরের আসনে রেখে দিন। বিশেষ কোনও কাজে যাওয়ার সময় একটি করে এলাচ খেয়ে নেবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রয়োজন অনুসারে এই উপায় তিন মাস বাদে, ছয় মাস বাদে বা এক বছর বাদে আবার করতে পারেন।