—প্রতীকী ছবি।
৯ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, দুর্গাষষ্ঠী। মা মর্তে আসার আনন্দে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা বিশ্বের বাঙালি হিন্দুরাই এই উৎসব আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করেন। মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই বিশ্বাস করা হয় এই পুজোয় অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির সঞ্চার হয়। ১০ দিনের পুজো হলেও সাধারণ ভাবে ষষ্ঠীর দিন থেকেই দুর্গাপুজো শুরু বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে পাঁচ দিনের প্রথম পুজো যে হেতু ষষ্ঠীর দিন হয়, তাই এই দিনের জন্য বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে যেগুলি করতে পারলে সংসারের মঙ্গল হয়।
টোটকা:
১) ষষ্ঠীর দিন আপনি যে খাবার খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, সেই খাবার মায়ের কাছে অর্পণ করুন এবং মনে মনে মনস্কামনা জানান। অবশ্যই এখানে নিরামিষ খাবারের কথা বলা হচ্ছে।
২) ষষ্ঠীর দিন একটা কলাপাতায় পাঁচ রকম ফল, এক ডজন কলা ও পাঁচ রকম মিষ্টি দিয়ে মায়ের চরণে রেখে আসুন। পুজো শেষে এই প্রসাদগুলো বিতরণ করে দিন। তবে মনে রাখবেন এই প্রসাদ আপনি নিজে অর্থাৎ যিনি পুজো দিয়েছেন তিনি গ্রহণ করবেন না।
৩) সম্ভব হলে এই দিন বাড়িতে ২১ জন পুরোহিতকে সেবা করুন।
৪) ষষ্ঠীর দিন বাড়িতে সাতটা শিশুকে ডেকে এনে সধ্যমতো কিছু দান করুন।
৫) একটা রুপার মুদ্রা এবং একটা পদ্ম ফুল নিয়ে ষষ্ঠীর দিন মায়ের কাছে রেখে আসুন। পুজো শেষ হয়ে গেলে মুদ্রাটি বাড়িতে এনে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। পদ্ম ফুলটা মায়ের চরণেই রেখে দেবেন।
৬) ষষ্ঠীর দিন একটা মাটির পাত্র বা সরা নিন। তাঁর মধ্যে পাঁচটি ফল, মিষ্টি, লবঙ্গ, সাদা ফুল এবং কিছুটা আতপচাল নিয়ে মায়ের কাছে রেখে আসুন। পরের দিন সেই সামগ্রীগুলো নিয়ে এসে একটা লাল কাপড়ে শুধু আতপচালটা মুড়ে বাড়ির ঈশান কোণে ঝুলিয়ে রাখুন। বাকি সামগ্রী জলে ভাসিয়ে দিন।