আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে পঞ্চমী তিথিতে করা হয় মা বিপত্তারিণীর ব্রত। ১২ মাসের যত ব্রত রয়েছে, তাঁর মধ্যে এটি বিশেষ একটি ব্রত হিসাবে পালিত হয়। প্রায় সব হিন্দু ঘরেই এই ব্রত পালন করা হয়। শনিবার বা মঙ্গলবারে এই ব্রত করা হয়।
সঠিক নিয়ম মেনে শ্রেষ্ঠ উপাচারে যদি এই ব্রত পালন করা হয়, তা হলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এই পুজোয় দূর্বা ঘাসের সঙ্গে লাল সুতো বেঁধে হাতে পরার নিয়ম অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মেয়েরা বাম হাতে এবং ছেলেরা ডান হাতে এই সুতো বাঁধেন। মনে করা হয় এই সুতো হাতে বাঁধলে মায়ের কৃপায় সব বিপদের হাত থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়।
এই পুজোয় ফুল, ফল সব কিছুই ১৩টি করে অর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট ও ১৩টি দূর্বা বাঁধার নিয়ম রয়েছে। পুজোর শেষে এই সুতো হাতে পরতে হয়। তবে অবশ্যই পুজোর শেষে মায়ের ব্রতকথা শুনতে হবে। এতে বেশি ভাল ফল লাভ করা যায়। বিপত্তারিণী ব্রত করার আগের দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন: বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়
কথায় বলে বিপদ তো বলে আসে না, বিপদ এলেই মনে আসে প্রবল দুশ্চিন্তা। তখন মনে হয়, ঠিক কী করলে এই বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই মনে ভক্তি ও বিশ্বাস রেখে এই মন্ত্র যদি মা বিপত্তারিণীর পুজো করা যা তা হলে সকল বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং মনের সকল বাসনাও পূরণ হয়।
মন্ত্র
মাসি পূন্যতমেবিপ্র মাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ বাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঝক্ষে চ মধ্যাহ্নে জানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।