বাস্তুদোষ থাকলে রাতে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন আসে অনেক বেশি পরিমাণে। প্রতীকী ছবি।
প্রায় সব বাড়িতেই কমবেশি বাস্তুদোষ থাকে। এই বাস্তুদোষের হাত থেকে বাঁচতে আমরা নানা ধরনের চেষ্টা করে থাকি। সকলেই জানি, যে বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকে, সেখানে নানা সমস্যা এসে বাসা বাঁধে। যেমন সন্তানের উপর কুপ্রভাব, আর্থিক অবনতি, পারিবারিক অশান্তি, ব্যবসা এবং চাকরিতে সমস্যা দেখা দেওয়া প্রভৃতি। এ ছাড়াও অনেক সময়ে দেখা যায়, যে বাড়িতে খুব বেশি বাস্তুদোষ থাকে, সেখানে বাসিন্দারা ঘন ঘন অসুস্থ হন এবং তাঁদের মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়। বাস্তুদোষ থাকলে রাতে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন আসে অনেক বেশি পরিমাণে। আর সেই সমস্যা দূর করতে জ্যোতিষ মতে নানা ধরনের উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি যদি সঠিক নিয়মে পালন করা যায়, তা হলে বাস্তুদোষের হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
টোটকা
১) প্রথমে বাজার থেকে একটি শুকনো জল ছাড়া নারকেল নিয়ে আসুন। তার পর বাড়ির আশপাশে থাকা কোনও মন্দির থেকে সামান্য মাটি নিয়ে আসুন। একটি লাল শালুর উপর সেই মাটি এবং নারকেলটি রাখুন। তবে অবশ্যই নারকেলটির উপর একটি স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করতে হবে। সেই লাল শালু কাপড় সমেত নারকেলটিকে বাড়ির যে কোনও শুদ্ধ স্থানে সাত দিন রেখে ধূপ দ্বীপ জ্বেলে পুজো করুন। সাত দিন পর সেটিকে বাড়ির সকলের মাথার উপর সাত বার ঘুরিয়ে নিন এবং বাড়ির প্রত্যেকটি দরজার মাথায় ঠেকিয়ে বাড়ির ঈশান কোণে পুঁতে দিন। এতে অনেকটা সমস্যার সমাধান হবে।
২) তিনটি পান পাতা নিয়ে, তার উপর চন্দন দিয়ে ওঁ লিখুন। তার পর সেই পান পাতার উপর একটি গোটা সুপুরি, কিছুটা কর্পুর এবং একটি লবঙ্গ রেখে লাল কাপড়ে মুড়ে বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে দিন।