‘পড়াশোনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। ছোটবেলায় এই প্রবাদ শুনিয়ে বাবা-মা আমদের পড়তে বসাত। কিন্তু, পরবর্তীকালে দেখা যায় পড়তে বসলেই আমাদের মাথায় আসে বিভিন্ন ধরণের চিন্তা। মনোযোগ যে কোথায় গায়েব হয়ে যায় কে জানে! পড়ায় মনোযোগ থাকলে যেটা একবার পড়লেই হয়, মনোযোগ না থাকলে সারাদিন পড়েও লাভ নেই। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পড়াশোনায় মনোযোগ আনার কিছু উপায় নিম্নে দেওয়া হল। এই পদ্ধতি গুলি অবলম্বন করলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা সম্ভব।
১) বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আরাধনা করতে হবে। ‘ওঁ ঐং ক্লীম সরস্বতৈ নম’ এই মন্ত্রটি ১০৮বার পদ্মাসনে ঈশান কোনে মুখ করে বসে পাঠ করতে হবে।
২) ছাত্র-ছাত্রীরা যেন লেখাপড়ার সময় উত্তরদিকে মুখ করে বসে, তাহলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে।
৩) পঞ্চমুখী হনুমানের পূজো করতে হবে।
৪) প্রতিদিন পাঁচটি করে তুলসীপাতা ভক্ষণ করতে হবে।
৫) পড়তে বসার সময় কাঠের চেয়ার টেবিল ব্যবহার করতে হবে, এবং টেবিলে যেন কাঁচ পাতা না থাকে।
৬) লোহার স্কেল বর্জন করতে হবে।
৭) প্রতি রবিবার রুটি, চিনি এবং একটি গোলাপ ফুল একসঙ্গে তামার পাত্রতে রেখে সূর্যদেবকে অর্পণ করুন।
৮) পড়ার টেবিলে সবুজ রঙের চাদর পাততে হবে।
৯) প্রত্যেক বৃহস্পতিবার পাঁচ রকম মিষ্টি ও পাঁচটা এলাচ একসঙ্গে একটি প্লেটে রেখে অশ্বত্থ গাছের নিচে অর্পণ করতে হবে সন্ধ্যাবেলায়। পর পর তিনটি বৃহস্পতিবার করলে সুফল পাবেন।
১০) তামার আংটি এবং পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
১১) বাগানের ঝরে পরা ফুল পড়ার টেবিলে রাখলে সুফল পাবেন।
১২) বিদ্যার্থীদের ঘর যেন সবুজ বা হলুদ বর্ণের হয়।
১৩) পড়ার ঘরকে সবসময় খোলামেলা রাখতে হবে।
১৪) ঘড়িতে অ্যালার্ম পূর্ণ সংখ্যায় দিতে হবে অর্থাৎ ভোর ৪টা বা ৫টা এরকম। ‘সাড়ে’ বা ‘সোয়া’ এগুলো বর্জনীয়।
১৫) লেখাপড়ার টেবিলে যে কোনও একজন মহাপুরুষের ধ্যান মগ্ন ছবি রাখুন।
১৬) হিংস্র কোনও জন্তুর ছবি রাখা উচিত নয়।
১৭) বিদ্যার্থীকে দিয়ে মাঝে মধ্যে দরিদ্র ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জিনিস দান করান।
১৮) বুধবার কালো কুকুরকে কিছু খাওয়ান।
১৯) কালো কালিতে লেখা বর্জন করতে হবে।
২০) যে খাতায় লিখবে তার মধ্যে একটি কচি অশ্বত্থ পাতা রাখুন।
২১) খালি গায়ে পড়তে বসতে নেই, কোনও পোশাক পড়ে বসুন।
২২) রাতে শয়নের আগে ‘হরে কৃষ্ণ- হরে কৃষ্ণ- কৃষ্ণ-কৃষ্ণ হরে-হরে /হরে রাম- হরে রাম- রাম-রাম হরে – হরে, এই মন্ত্রটি ১০বার পাঠ করলে পড়াশোনায় একাগ্রতা বাড়বে।