(৪) কোনও জাতক/জাতিকার ফরচুনা পঞ্চম ভাবে পড়লে সন্তান ভাগ্য ভাল হয়। এরা সন্তান সুখে সুখী হয়ে থাকে। এই ভাবে ফরচুনা পড়ার জন্য সিনেমা, নাটক, ওয়েব ডিজাইন, শিল্প চর্চা ইত্যাদি থেকে লাভবান হওয়া বোঝায়। এটা আরও বোঝায় যে, এরা গান, ছবি আঁকা ইত্যাদিতে বুৎপত্তি এবং এর থেকে সাফল্য ও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়।
(৫) ফরচুনা ষষ্ঠ ভাবে পড়ার জন্য জাতক/জাতিকা মামা, মাসী, কাকা, পিসির থেকে আজীবন সহযোগিতা পাবে। এইখানে ফরচুনা থাকার জন্য চাকর, খানসামা, আয়া বা নিচু শ্রেণির মানুষ থেকে উপকৃত হওয়া বোঝায়। সুদের কারবার, বিভিন্ন ভাবে টাকা খাটানো বা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ব্যাপারে লাভবান হওয়া বোঝায়। কঠোর পরিশ্রমের পর লাভ বোঝায়।
(৬) সপ্তম ভাবে ফরচুনা পড়লে আজীবন অংশীদার বা বিপরীত লিঙ্গ থেকে নানাভাবে উপকৃত হওয়া বা লাভবান হওয়া বোঝায়। জাতক হলে, অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রী চাকুরি করে। রাজনীতি করলে বড় নেতা হওয়া, নির্বাচনে জয় লাভ বোঝায়, শত্রুকে পরাজিত করা যায়। মামলা মোকদ্দমাই জয় হয়।
(৭) অষ্টমে ফরচুনা মানে মৃতের সম্পত্তি পাওয়া, গ্র্যাচুইটি, ইন্সিওরেন্স, বোনাস ইত্যাদি থেকে লাভ বোঝায়। অনেক বাধা-বিঘ্ন ও সময় নষ্ট করে কোনও কিছূ পাওয়া বোঝায়। স্ত্রী চাকরি করে অথবা ব্যবসা করে। মা-বাবার মৃত্যু থেকে লাভবান হওয়া বোঝায়।
(৮) নবম ভাবে ফরচুনা মানে ভাগ্যস্থানে ভাগ্যদেবী। ফলে অনেক ব্যাপারে জাতক/জাতিকা না চাইতেও অনেক কিছু পেয়ে যায়। উচ্চশিক্ষা লাভ, উঁচুপদে অধিষ্ঠিত হওয়া বোঝায়। কোনও বড় চ্যারিটেবল বা আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বোঝায়। ভ্রমণ ব্যবসায় লাভ বোঝায়। বহু দূর দেশে বিমানে যাওয়া বোঝায়। চরম দুর্দিনে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বা শ্রীগুরু কৃপা পওয়া যায়, যা জাতক/জাতিকা হৃদয়ে অনুভব করেন।
(৯) দশম ভাবে ফরচুনা পড়লে জাতক/জাতিকা চাকরি বা ব্যবসা যাই করুক না কেন, তাতে যত দূর যেতে হয় তত দূরই যায়। এরা আত্ম প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হয়। এদের নাম ডাক খুব হয়ে থাকে। আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব থেকেও প্রচুর সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
(১০) এই ভাবে ফরচুনা পড়া মানেই জাতক/জাতিকার আশাআকাঙ্খা যা আছে তা পূরণ হয়। জেষ্ঠ ভ্রাতা বা ভগ্নী থেকে আত্মীক বা আর্থিক সহযোগিতা সর্বদা পেয়ে থাকে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য কোনও প্রতিষ্ঠিত মানুষের কাছ থেকে আর্থিক ও মানসিক সাহায্য পেয়ে থাকে।
(১১) দ্বাদশ ভাবে ফরচুনা থাকায় নিজের আত্মার উন্নতির জন্য যোগ, ধ্যান, জপ, তপ, একাকী থাকা— এই সবের মাধ্যমে যে সুখ আছে তা পাওয়া যায়। জাগতিক দিক থেকে অনেক কষ্টে, বহু বাধা বিঘ্ন বা হার্ডলস পেরিয়ে কোনও জয় হয়তো পাওয়া যেতে পারে। অজানা কোনও দিক থেকে অর্থ ও সম্পদ পাওয়ার যোগ রয়েছে, যেটা আগে ভাবা যায়নি। এইখানে ফরচুনা বোঝায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়েছে।
পুনরায় কী ভাবে ফরচুনা বের করব, তার আর একটা উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো হল। ধরা যাক, কোনও জাতকের লগ্নের স্ফুট ৩১১ ডিগ্রি, চন্দ্রের স্ফুট ২১৪ ডিগ্রি ও রবির স্ফুট ৬৫ ডিগ্রি।
ফরচুনা= লগ্নের স্ফুট + চন্দ্রের স্ফুট – রবির স্ফুট
= (৩১১ + ২১৪) – ৬৫
= ৫২৫ - ৬৫
= ৪৬০ – ৩৬০ (কারণ ১২ রাশি গুনিতক ৩০ ডিগ্রি = ৩৬০ ডিগ্রি}
= ১০০ ডিগ্রি = কর্কট ১০ ডিগ্রি। জাতকের ফরচুনা কর্কটে ১০ ডিগ্রিতে।