-------------- ঃ ক্রশ চিহ্ন বা বজ্র চিহ্ন ঃ---------------
ক্রশ চিহ্ন বা বজ্র চিহ্ন একই। হিন্দু সামুদ্রিক শাস্ত্রে একে বজ্র চিহ্ন এবং পাশ্চাত্য কররেখা বিজ্ঞানে ক্রশ চিহ্ন বলা হয়, তফাৎ এইটুকুই। বৃহস্পতির ক্ষেত্র ছাড়া বাকি আর সব ক্ষেত্রেই এটি খারাপ ফল প্রদান করে। যেমন------
১। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে ক্রশ বা বজ্র চিহ্ন থাকলে জাতকের বিবাহিত জীবন সুখের হয়। এরা বিবাহের মাধ্যমে অর্থ ও সম্মান দুটিই লাভ করে থাকে, আর যদি এর সঙ্গে রবিরেখা ভালো হয় ও ভাগ্যরেখা চন্দ্র স্থানের দিকে উঠে আসে, তবে এদের বিবাহিত জীবন প্রচন্ড সুখের হয়।
২। এই চিহ্ন শুক্র স্থানে থাকলে জাতকের বিবাহিত জীবন সুখের হয়। তথাপি ক্রশ চিহ্ন প্রেম প্রীতির উপর বিশেষ অশুভ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এছাড়া এই চিহ্নটি জাতককে কলহ পূর্ণ গোপন প্রেমে লিপ্ত রাখে।
৩। মঙ্গলের ক্ষেত্রে ক্রশ চিহ্ন থাকলে জাতক স্বার্থপর, একগুঁয়ে ও কলহপ্রিয় হয়, এজন্য এরা শত্রুর দ্বারা প্রচন্ড বাধার সন্মুখীন হয়।
৪। এই চিহ্নটি বুধের স্থানে থাকলে জাতক শঠ, প্রবঞ্চক ও অবিশ্বাসী হয়। এরা চৌর্য বৃত্তি দ্বারা ধন অর্জন করে থাকে।
৫। রাহু স্থানে ক্রশ থাকলে, কলহ ও ধনের কারণে জাতকের মৃত্যু হয়।
৬। ক্রশ চিহ্নটি চন্দ্র ক্ষেত্রে থাকলে, জাতক মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে। চন্দ্রের নিচের দিকে থাকলে জাতক জলে ডুবে মারা যায়।
৭। শনির স্থানে ক্রশ থাকলে, জাতকের অপমৃত্যু হয়।
৮। হৃদয়রখার উপরে এই চিহ্নটি থাকলে, জাতকের কোনও প্রিয়জনের মৃত্যুকে নির্দেশ করে।
৯। শিরোরেখার উপরে থাকলে, জাতক মস্তকে আঘাত পেতে পারে।
১০। ক্রশ চিহ্নটি যদি জাতকের করতলের কর ত্রিকোণের মধ্যে থাকে, তবে জাতক অহংকারী ও প্রভুত্ব প্রিয় হয়।