জন্মছকে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানে বিভিন্ন যোগের সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে অনেক যোগই শুভ যোগ। আবার এর ব্যতিক্রমও হয়। বিভিন্ন অশুভ গ্রহের অবস্থানের ফলে অশুভ যোগ তৈরি হয়। যা জাতক বা জাতিকার জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। এই অশুভ যোগ থেকেই ভিন্ন ভিন্ন দোষের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দোষে মধ্যে ‘গ্রহণ দোষ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
গ্রহণ দোষ-
গ্রহণ অর্থাৎ অন্ধকার। রাহু ও কেতু সৌর্যমন্ডলের ওপরের ও নিচের দুটো গ্রন্থি। এই রাহু বা কেতু যখন রবি বা চন্দ্রের সঙ্গে রাশিচক্রে বা জন্মছকে অবস্থান করে তখন এই দোষ তৈরি হয়।
গ্রহণদোষের তাৎপর্য জানতে হলে রবি, চন্দ্র, রাহু ও কেতুকে জানতে হবে।
রবি অর্থাৎ পিতা, উচ্চতর স্থান, সম্মান, অহংকার, শত্রুতা ইত্যাদি।
চন্দ্র অর্থাৎ মা, আবেগ, ঘরবাড়ি, সুখ-স্বাচ্ছন্দ, নিরাপত্তা ইত্যাদি।
রাহু অর্থাৎ বিবাদ, আবেগ, গভীর আসক্তি বা প্রণয়, শিল্পকর্ম, অভিযান, বিপজ্জনক কাজ ইত্যাদি।
কেতু অর্থাৎ মোক্ষ, বিচ্ছেদ, আধ্যাত্মিকতা, সুচতুর অনুমান, নীরবতা, রহস্যময়তা ইত্যাদি।
সুতরাং রবি ও চন্দ্র যদি রাহু বা কেতুর সঙ্গে কোনও ভাবে যোগ সৃষ্টি করে তবে গ্রহণদোষ সৃষ্টি করে উপরের জায়গাগুলোতে ক্ষতি করে বা সমস্যা সৃষ্টি করে।
প্রতিকারঃ---
১। প্রাথমিক প্রতিকার নিজেকে সঠিকভাবে চেনা বা উপলব্ধি করা। এর মাধ্যমে অনেকটাই নিজের সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়া যেতে পারে।
২। গ্রহদের ডিগ্রিগত অবস্থানে এই দোষের প্রভাব কম-বেশি হয়। কেতু বিচ্ছেদ নির্দেশ করে। সুতরাং জাতকের বেশি করে কোনও দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা উচিত।
৩। জাতক বা জাতিকার পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল বা ঋণ এই দোষের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং সঠিকভাবে বিবেচনা করে প্রতিটি কর্মে অগ্রসর হতে হবে। সত্য কে সামনে রেখে এগিয়ে চললে প্রতিটি ভুলভ্রান্তি সামনে থেকে ধীরে ধীরে দূরে চলে যাবে।