অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থাকলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
অ্যালার্জির সঙ্গে আপস করা যায় না কোনও ভাবেই। যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা জানেন, কতটা মারাত্মক হতে পারে অ্যালার্জি! ত্বকের উপরে অ্যালার্জি হলে তা চিনে নেওয়া সহজ। কিন্তু খাদ্যনালি, শ্বাসনালি বা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় হলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
শীতের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। রাইনাইটিস থাকলে ঠান্ডা লাগানো যাবে না কোনও ভাবেই। ঠান্ডা লেগে গেলেই লাগাতার হাঁচি শুরু হবে। সর্দি-কাশি কমতেই চাইবে না। সেই সঙ্গে চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়া, চোখ ফুলে লাল হয়ে যাবে। চোখে, নাকের চারপাশে চুলকানিও হবে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যাকে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে।
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে খাওয়াদাওয়াও নিয়ম মেনেই করতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে যা অ্যালার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও অ্যালার্জির কারণ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম, তবে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
অ্যালার্জি থাকলে কী কী খাবেন না?
চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের পরামর্শ, ময়দা দিয়ে তৈরি এমন খাবার না খাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে কুকিজ়, বিস্কুটও খাওয়া যাবে না। গ্লুটেন এই ধরনের অ্যালার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে।
কোনও রকম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া যাবে না। প্যাকেটজাত ফলের রসও নয়। এই ধনের ঠান্ডা পানীয়ে এমন রাসায়নিক থাকে যা শরীরে গেলেই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে।
বেকারির যে কোনও খাবার সমস্যা বাড়াতে পারে। কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি কম খান।
বিভিন্ন ধরনের বাদাম অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে। চিনাবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কাঠবাদাম খেতেও মানা করেন চিকিৎসকেরা।
শরীর ভাল রাখতে নানা রকম সব্জি খেতেই বলেন চিকিৎসকেরা। তবে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থাকলে কয়েক রকম সব্জি না খাওয়াই ভাল, যেমন বেগুন, ঢেঁড়শ, মাশরুম এড়িয়ে চলাই ভাল।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। অ্যালার্জি থাকলে কী কী খাওয়া
উচিত আর কী নয় তা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।