ল্যাপটপ বা মাউজ় ব্যবহার করতে গিয়ে হাতে ব্যথা হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা হোক বা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা বিজ্ঞাপনী সংস্থা অথবা সংবাদমাধ্যম, বহু পেশাতেই এখন দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হয়। দিনের পর দিন দীর্ঘক্ষণ কি-প্যাড ও মাউজ় ব্যবহারের ফলে কারও কারও, কখনও কব্জিতে, কখনও কনুইতে, কখনও কাঁধ ও বাহুর সংযোগস্থলে ব্যথা হয়। এমনকী আঙুলেও ব্যথা হয়। খুব ব্যথা হলে ব্যাথানাশক ওষুধ খেলে সাময়িক কষ্ট কমে ঠিকই, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। এক্ষেত্রে কী করণীয়?
উপযুক্ত ভঙ্গিমা
যে চেয়ারে বসে কাজ করছেন তার সঙ্গে টেবিলে রাখা ল্যাপটপের দূরত্ব কতটা, চোখের দৃষ্টির সঙ্গে কোন কৌণিক দূরত্বে সেটি রাখা আছে, তা ভীষণ জরুরি। কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গিতে বসা দরকার। শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসতে হবে। বসার ভঙ্গিতে গন্ডগোল হলে হাতে তো বটেই, কাঁধে এমনকি মাথাতেও ব্যথা হতে পারে।
মাউজ়
সারা দিন যাঁদের মাউজ় চালনা করতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সঠিক মাউজ় নির্বাচন খুব জররি। বিভিন্ন দামের, বিভিন্ন আকারের মাউজ় আছে। আপনার হাতের জন্য কোনটা উপযুক্ত হবে বুঝে নিতে হবে। কোনও মাউজ় বেশি চ্যাপ্টা হয়, কোনওটা একটু উঁচু, কোনটা ব্যবহারে সুবিধা হচ্ছে দেখতে হবে। কব্জিতে যাতে বেশি চাপ না পড়ে এমন মাউজ়ও আছে।
কি-বোর্ড
ল্যাপটপের আকার অনুযায়ী কি-বোর্ডও ছোট-বড় হয়। ছোট কি-বোর্ড ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করে টাইপ করে হাতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ, এতে বাহু ঠিকমতো প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পায় না। যার জেরে আঙুল, কাঁধ ও বাহুর সংযোগস্থলে ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে আলাদা করে প্রশস্ত কি বোর্ড জুড়ে কাজ করলে সুবিধা হতে পারে।
কনুইয়ের অবস্থান
ল্যাপটপে কাজের সময় কনুই দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকলে হাতে ব্যথা হতে পারে। এক একজনের, এক এক কারণে ব্যথা বা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কোনও কিছুর উপর কনুইয়ের ভর দিয়ে কাজ করতে পারেন।
বিরতি দরকার
টানা কাজের বদলে মাঝেমধ্যে বিরতি নিন। খানিকটা হেঁটে আসুন। হাত-পা প্রশস্ত করে নিন। কব্জি ঘুরিয়ে ব্যায়াম করে নিতে পারেন। হাতের তালুতে ব্যথা হলে, নরম বল রাখতে পারেন। বলে চাপ দিলেও হাতের ব্যায়াম হয়।
তবে এতেও কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।