এই মরসুমে অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগ অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে হয়। ছবি: সংগৃহীত
শীত পড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। এই মরসুমে সর্দি-কাশির পাশাপাশি বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যাও। শীতের বাতাস ভারী হয়। সে কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস মানুষের শরীরে চট করে প্রবেশ করে। এই সময়ে ভাইরাসজনিত রোগ শীতে বেশি করে দেখা যায়। এই মরসুমে অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগ অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে হয়। বাতাসে ধূলিকণা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সেগুলির প্রতিক্রিয়া থেকে অ্যালার্জি হয়। কোন উপসর্গগুলি বলে দেবে আপনি শীতকালীন অ্যালার্জিতে ভুগছেন?
১) ঘন ঘন হাঁচি
২) গলা খুসখুস করা
৩) নাক দিয়ে জল পড়া
৪) কানে অস্বস্তি
৫) চোখে জ্বালা ভাব
৬) নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
৭) হালকা জ্বর
৮) ত্বকে সংক্রমণ
এই সময়ে ভাইরাসজনিত রোগ শীতে বেশি করে দেখা যায়। প্রতীকী ছবি।
অ্যালার্জি ঠেকাতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
১) আলমারি থেকে এখনও সে ভাবে শীতের পোশাক বার করা হয়নি। হাওয়া অফিস বলছে কিছু দিন পর থেকে সেগুলির ব্যবহার শুরু হবে। ব্যবহার করার পাশাপাশি এই পোশাকগুলি যত্নে রাখাও জরুরি। উলের চাদর, সোয়েটার পরার পর রোদে দিয়ে রাখা জরুরি। অ্যালার্জির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এ বিষয়ে আরও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
২) বাড়ির ভিতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ ঢুকতে দিন। রোদ না ঢুকলে সমস্যায় পড়তে পারেন অ্যালার্জির রোগীরা। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকে ও কিন্তু হতে পারে অ্যাালর্জি। সেগুলি পরিষ্কার করুন।
৩) বাড়িতে যেন কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড়ের উপদ্রব না বাড়ে, সে দিকে লক্ষ রাখুন। রান্নাঘর এবং শৌচালয়ের পাইপে ছিদ্র থাকলে তা মেরামত করুন। যাতে সেখান থেকে কোনও কীটপতঙ্গ না ঢুকতে পারে।
৪) ঘরের প্রতিটি কোণ খুব ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন। যাতে ধুলোবালি না জমে। ধুলোতে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। তাই ধুলোবালি থেকে সাবধান।