অ্যালঝাইমার্স রুখতে কী ভাবে সাহায্য করে কারিপাতা? ছবি: শাটারস্টক।
দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় ফোড়ন দেওয়ার অন্যতম উপকরণ হল কারিপাতা। বাঙালি রান্নায় অবশ্য খুব বেশি কারিপাতা ব্যবহারের চল নেই। তবে শুধু যে কারিপাতার গন্ধের জন্যই তা খাবারে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয়। এই পাতা স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর। কারিপাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই— যা পেট থেকে শুরু করে চুল, ত্বক, ডায়াবিটিস এবং মেদ ঝরাতেও কাজে লাগে। এ ছাড়া কিছু মারণরোগও ঠেকিয়ে রাখতে পারে কারিপাতা। জেনে নিন, কেন রান্নায় এই পাতার ব্যবহার বেশি করে করা উচিত।
১) ‘জানার্ল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিকোলজি’তে বলা হয়েছে, কারিপাতায় থাকা ফ্ল্যাভনয়েড কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কারিপাতার ‘অ্যান্টি-মিউটেজেনিক’ গুণ ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আটকায়।
২) বেশি বয়সে মস্তিষ্কের স্নায়ুর জটিল রোগ অ্যালঝাইমার্স প্রতিহত করতেও সাহায্য করে কারিপাতা। কারিপাতার নির্যাসে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে সুরক্ষিত রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
৩) সকালে উঠেই খালি পেটে বেশ কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এই অভ্যাসে হার্টের বহু সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। নিয়মিত কারিপাতা খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হজমের সমস্যা হলেও কারিপাতা নিয়ম করে চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। ছবি: শাটারস্টক।
৪) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও উপকরী এই কারিপাতা। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন যৌগ ডায়াবিটিসের ফলে হওয়া কিডনির ক্ষতিও প্রতিহত করতে পারে।
৫) কারিপাতায় রয়েছে কারবাজ়োল এবং অ্যালকালয়েড্স। যা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। ডায়েট এবং শরীরচর্চা পাশাপাশি সকালে খালি পেটে বা রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত। হজমের সমস্যা হলেও কারিপাতা নিয়ম করে চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।