গাজর শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
খুদের টিফিন, চাইনিজ় কোনও পদ, স্যালাড, নিরামিষ তরকারি কিংবা হালুয়া— সব পদেই গাজরের অবাধ বিচরণ। কেবল শীতকালেই নয়, এখন সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় গাজর। চোখ ভাল রাখা থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ গাজরের কিন্তু গুণের শেষ নেই। ছোট থেকে বড় সব বয়সিদের রোজের ডায়েটে এই সব্জি রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদেরা। জেনে নিন, কেন রোজের ডায়েটে গাজর রাখা জরুরি।
১) ডিজিটাল যুগে কমবেশি অনেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গাজরে ভরপুর মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এই সব্জিতে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে যা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমাতেও গাজর রাখতে পারেন রোজের ডায়েটে।
২) গাজরে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিনগুলি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণসম্পন্ন। পাশাপাশি, গাজরে থাকে ভিটামিন বি৬, যা শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
গাজরে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক খুব বেশি নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে গাজরের রস পান করলে রক্তের শর্করার পরিমাণ খুব একটা বৃদ্ধি পায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের শরীরে ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-৬-এর ঘাটতি হয়। আর এর প্রভাব কিডনির উপরেও পড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদেরও পরিমিত মাত্রায় গাজর খাওয়া ভাল। গাজরে থাকা ফাইবার ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৪) পুষ্টিবিদদের মতে গাজরে পাওয়া যায় এমন বেশ কিছু উপাদান, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত গাজরের পলিঅ্যাসেটাইলিন, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।
৫) গাজর শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এই কোলাজেন ত্বক ভাল রাখে। পাশাপাশি, গাজরের ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা করতে সহায়তা করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।