শীতের প্রয়োজনীয় পানীয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডাবের জলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সকলেই জানেন। শুধু গরমের সময়ে নয়, সারা বছরই খাওয়া যায় এই পানীয়। গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। তাই সেই সময়ে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। আবার, ঠান্ডার সময়ে অনেকেই জল খাওয়া কমিয়ে দেন। তখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেই সময়েও ডাবের জল খাওয়া জরুরি। কিন্তু তা খেতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার আগেই খেয়ে নিতে হবে এই পানীয়। ডাবের জলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ডাবের জল দিয়ে যদি সকাল শুরু করেন, তা হলে সারা দিন চনমনে থাকবে শরীর। এ ছাড়া, শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরেও ডাবের জল খেতে পারেন। বেশ ঝরঝরে লাগবে। তবে শুধু ক্লান্তি কাটানো বা জলের অভাব পূরণ করাই নয়, ডাবের জল খাওয়ার আরও নানাবিধ উপকার রয়েছে।
১) ওজন ঝরাতে সাহায্য করে
ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। ডায়েট অনুযায়ী খাবারও খান। সঙ্গে নিয়মিত ডাবের জল খেলে ওজন ঝরানোর কাজটি কিন্তু সহজ হয়ে যেতে পারে। পটাশিয়াম এবং নানা ধরনের বায়ো-অ্যাক্টিভ উৎসেচকে সমৃদ্ধ এই পানীয় বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে।
২) ত্বকের জন্য ভাল
শীতে শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে ডাবের জল। শরীরে জলের অভাব হলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক দেখায়। ডাবের জলে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা ত্বকের জন্য ভাল।
ডাবের জল খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কোলেস্টেরলমুক্ত পানীয়
ডাবের জল খেলে কোলেস্টেরল বা ফ্যাট পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। তবে ডাবের জলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। তাই শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে রোজ এই পানীয় খাবেন কি না, তা চিকিৎসকই বলবেন।