শরীর চাঙ্গা রাখতে দুধে কি মিশিয়ে খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো কাটতে না কাটতেই বদল এসেছে আবহাওয়ায়। রাত হলেই শীত শীত ভাব ভালই টের পাচ্ছেন শহরবাসী। মরসুম বদলের এই সময়ে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর। সর্দি-কাশির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার অব্যর্থ দাওয়াই হল চবনপ্রাশ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ মুনি ‘চ্যবন’-এর নাম ও ‘প্রাশ’ (বিশেষ ভাবে তৈরি খাবার) মিলে নামকরণ হয়েছে এই পথ্যের। কেবল শীতকালেই নয়, এই পথ্য সারা বছর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, রইল তার হদিস।
চ্যবনপ্রাশে মোট চল্লিশ ধরনের উপকরণ থাকে। এই সব উপকরণের মধ্যে রয়েছে আমলকি, মধু, অশ্বগন্ধ, চন্দন গুঁড়ো, নিম, তুলসী, কেশর, অর্জুন গাছের ছাল, ঘি, ত্রিফলা অন্যতম।
খাওয়ার নিয়ম:
ঠান্ডার মরসুমে প্রতি দিন নিয়ম করে এক চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতে পারে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। হয় সকালে খালি পেটে, আর না হয় রাতে খাবার খাওয়ার পর এই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। গরম দুধে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
ঠান্ডার মরসুমে প্রতি দিন নিয়ম করে এক চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বাঁচতে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতেই পারে। এ ছাড়া, আর কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে চ্যবনপ্রাশের?
১) ফুসফুস চাঙ্গা রাখে।
২) হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।
৩) শক্তি বাড়ায়।
৪) রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং দূষিত পদার্থ বার করে দেয়।
৫) রক্তচাপ স্বাভাবিক করে।
৬) কোলেস্টেরলের জন্য ভাল।
৭) সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।