— প্রতীকী চিত্র।
পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটি দিন। এখন থেকেই মনের মধ্যে কেমন যেন উড়ু উড়ু ভাব। অফিসে পৌঁছে সময়-সুযোগ পেলেই এক বার করে ঢুঁ দিয়ে আসছেন নিউ মার্কেট কিংবা গড়িয়াহাটে। জামা-কাপড়, জুতো, গয়নাগাঁটি, ব্যাগের সম্ভার থেকে টুকিটাকি কেনাকাটাও চলছে। সঙ্গে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া। কোনও দিন রোল, কোনও দিন ছোলে বাটুরে, কোনও দিন বিরিয়ানি। কিন্তু মুশকিল হয় ফেরার পর। পেট ভরে খাওয়াদাওয়া করার পর অফিসে ফিরে আর কাজে মন বসাতে পারেন না। কনফারেন্স রুমে মিটিং চলাকালীন দু’চোখের পাতা এক হয়ে যায়। চেষ্টা করেও তাকে আটকে রাখতে পারেন না। বার বার হাই উঠতেই থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পেট বেশি ভর্তি হয়ে গেলে অনেকেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হন। চিকিৎসাশাস্ত্রে যাকে বলা হয় ‘পোস্টপ্রানডায়াল সমনোলেন্স’ বা ‘ফুড কোমা’। আসলে খাবার খাওয়ার পর অনেকের শরীরেই সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোনই ঘুম পাওয়ার জন্য দায়ী। ছুটির দিনে বাড়িতে থাকলে অসুবিধে হওয়া কথা নয়। তবে কাজের সময়ে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি মোটেই শোভন নয়। তাই ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
১) ভাল লাগলেও বেশি খাওয়া যাবে না
অন্যান্য দিন ডায়েট করেন। কিন্তু বিরিয়ানি খেতে গেলে আর খেয়াল থাকে না। তবে কাজের দিন দুপুরে বিরিয়ানি খেতে গেলে পরিমাণের উপর একটু রাশ টানতেই হবে। না হলে ঘুম ঘুম ভাব আটকানো যাবে না।
২) অতিরিক্ত ফ্যাট, শর্করাজাতীয় খাবার বাদ
বিরিয়ানি খাওয়ার পরই একটু শাহী টুকরা খেতে ইচ্ছা করতেই পারে। তাতে রসনাতৃপ্তি হলেও কাজের গতি কিন্তু শ্লথ হয়ে পড়বে। হজম হয়ে যাবে ভেবে ঠান্ডা নরম পানীয় খেলেও কিন্তু একই রকম ঘটনা ঘটতে পারে।
৩) ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন
খেতে ভাল না লাগলেও পুজোর আগে শরীর সুস্থ রাখতে এবং কাজের মাঝে ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ, খাবার খাওয়ার পর রক্তে থাকা অতিরিক্ত শর্করা দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে ফাইবার।