হলুদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
রান্নার স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যা, শরীরের যত্ন নেওয়া প্রভৃতি কাজে হলুদের বিকল্প নেই। বহু দিন আগে থেকেই রান্নার উপকরণ হিসাবে, রূপচর্চায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি। প্রতি বারই হলুদের ভিন্ন ভিন্ন গুণের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক এক ‘ম্যাজিক’ যৌগ। যা আদতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই পলিফেনল যৌগটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হলুদে রয়েছে ভিটামিন, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অসংখ্য উপকারী পদার্থ। সোজা কথায়, হলুদে পুষ্টিগুণের অভাব নেই।
কিছু ক্ষেত্রে হলুদ উপকারের বদলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে নির্ভরযোগ্য ভরসা হতে পারে হলুদ। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দাগছোপ দূর করতেও হলুদ দারুণ উপকারী। হলুদের এই সব গুণাগুণ নিয়ে কমবেশি সকলেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসকরা বলছেন, হলুদ সকলের জন্য উপকারী নয়। কিছু ক্ষেত্রে হলুদ উপকারের বদলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তা হলে, কারা খাবেন না হলুদ?
১) কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, হলুদ তাঁদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। হলুদে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের পিত্ত নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২) ডায়াবিটিস রোগীদের হলুদ না খাওয়াই ভাল। হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভেবে ভুলেও খাবেন না হলুদ।
৩) ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসঅর্ডার’-এর মতো জটিল সমস্যা থাকলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল। হলুদ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪) শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে হলুদ খাওয়া বন্ধ করুন। লিভারের কোনও সমস্যা থাকলেও হলুদ কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে।