ঝাল খেয়েও ভাল থাকা যায়। ছবি:সংগৃহীত।
ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই। তাই ঝাল আছে বলে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে এড়িয়ে চলেন বাইরের খাবার। আবার বুক জ্বালা, পেট জ্বালার মতো শারীরিক সমস্যার ভয়েও ঝাল খেতে চান না অনেকে। হোটেল, রেস্তরাঁর খাবারে এমনিতেই বেশি ঝাল, মশলা দেওয়া হয়। এটা ঠিক যে, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে শরীরের অবহেলা হয় তো বটেই। তবে তেলমশলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও লঙ্কা অস্বাস্থ্যকর নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ঝাল খাবার যত্ন নেয় শরীরের। এটা শুনে অনেকে বিস্মিত হলেও লঙ্কা দেওয়া খাবার সত্যিই শরীরের যত্ন নেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে পরিশ্রমের খামতি রাখেন না কেউই। জিমে যাওয়া থেকে শুরু করে ডায়েট করা, সব করা হয় নিয়ম মেনেই। ওজন ঝরানোর আরও একটি পথ হতে পারে লঙ্কা। লঙ্কায় রয়েছে ক্যাপাসাইসিন নামক উপাদান, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদান হজমক্ষমতা উন্নত করতেও সক্ষম। হজম ঠিকঠাক হলে ওজনও বাড়তে পারে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে লঙ্কার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
খুব ঝাল খাবার খেলে অম্বল হতে পারে, এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। গ্যাস-অম্বল হলে তার প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রেও। তাই অনেকেই লঙ্কা খেতে চান না। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লঙ্কা হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যাপাসাইসিন খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে লঙ্কা।
মন ভাল রাখতে
ঝাল খাবার মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর নেপথ্যে অবশ্য যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। লঙ্কা শরীরে সেরোটোনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সেরাটোনিন ভাল হরমোন নামেই পরিচিত। মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ দূর করতেও ভরসা রাখতে পারেন লঙ্কা এবং ঝাল খাবারে।