এক বার ঋতুস্রাব হওয়ার ১৪ দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয়। ছবি: শাটারস্টক
খিদে বা ঘুম পাওয়ার মতো যৌন আকাঙ্ক্ষাও কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বটে। শরীরী মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও মজবুত করে। সুখী দাম্পত্যের পিছনে সুখী যৌনজীবন নিঃসন্দেহে জরুরি। শুধু মানসিক তৃপ্তি নয়, সুস্থ জীবনের জন্যও অতি প্রয়োজনীয় সুখকর যৌনজীবন। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসের সব দিন যৌন চাহিদা সমান হয় না! কোন সময়ে এই চাহিদা তুঙ্গে থাকে জানেন?
নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের ওভিউলেশনের (ডিম্বস্ফোটন) সময় তাঁদের মধ্যে সঙ্গমের ইচ্ছা প্রবল হয়। যাঁদের ঋতুচক্র স্বাভাবিক দিনে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে ২১-৩৫ দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয়। ওভিউলেশনের আগের সময়টি ১৩-২০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত ওভিউলেশনের ১৪-১৬ দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয়।
অর্থাৎ এক বার ঋতুস্রাব হওয়ার ১৪ দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয়। ওভিউলেশনের দিন তিনেক আগে থাকেই শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যায়। তবে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম হয় যে, সাধারণ থার্মোমিটারে তা ধরা পড়ে না। ০.৪-০.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে তাপমাত্রা। এ সময়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা না থাকলে মাসের এই সময়ে গর্ভনিরোধক ছাড়া সঙ্গম না করাই ভাল।
ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তাই তাঁদের মেজাজ বিগড়েয়। ছবি: শাটারস্টক
ঋতুস্রাবের সময় যৌনমিলনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। অনেক মহিলাই ঋতুস্রাবের সময় প্রবল যন্ত্রণায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রে যৌনমিলনে যন্ত্রণা থেকে উপশম পেতে পারেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তাই তাঁদের মেজাজ বিগড়ায়। সঙ্গম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, মেজাজও ভাল থাকে।