মাথায় হালকা চোট-আঘাত লাগলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা করি। ছবি: সংগৃহীত
মাথায় কোনও কারণে আঘাত লাগলে তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে শারীরিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন মানুষ। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেটি কাজ না করলে ভীষণ মুশকিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বড় বিপদ।
মস্তিষ্ক আঘাত পেলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। মাথায় হালকা চোট-আঘাত লাগলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা করি। এর লক্ষণ কিছু ক্ষেত্রে অল্প সময়েই দেখা যায় আবার কিছু ক্ষেত্রে বেশ ক’দিন সময় লাগে। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে কোন কোন লক্ষণ অবহেলা করবেন না, তা জানা ভীষণ জরুরি।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
মাথায় আঘাত লাগলে অত্যধিক মাথা যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরানো, বমি, সঠিক ভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতা এগুলি খুব সাধারণ বিষয়। এ ছাড়াও কিন্তু নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেকের ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে। ফেশিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া হেমারেজ, মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। যে সব রোগীরা শারীরিক সমস্যার কারণে রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ খান, তাঁদেরও এই বিষয়ে বেশ সতর্ক থাকা জরুরি।
প্রতীকী ছবি
মাথায় চোট লাগা হল সব সময়েই আপৎকালীন অবস্থা। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনিই আপনাকে এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে রোগের লক্ষণ দেখার পর চিকিৎসক প্রয়োজন মতো এক্সরে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান করতে পারেন। মস্তিষ্কের ক্ষতির মাত্রা পরীক্ষায় এখন ‘ইমেজিং প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হয়৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর মস্তিষ্কের ত্রিমাত্রিক স্ক্যান করা হয়৷ তখন চিকিৎসকরা সহজেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না, বা কোথাও ফুলে গিয়েছে কি না, কিংবা কোনও নির্দিষ্ট অংশ আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা বুঝতে পারেন চিকিৎসক৷
কী ভাবে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?