জাপানি মেয়েদের মধ্যে স্থূলত্ব বড় একটা দেখা যায় না, কেন জানেন? ছবি: ফ্রিপিক।
জাপানি ছেলে বা মেয়েদের মধ্যে স্থূলত্ব বড় একটা দেখা যায় না। বিশেষ করে জাপানি মেয়েদের চেহারা দেখার মতোই। ছিপছিপে চেহারায় মেদের লেশমাত্র নেই। তেমনই স্বাস্থ্যেজ্জ্বল তাঁদের ত্বক ও চুল। তাই বলে কি তাঁরা সব খাওয়াদাওয়া ছেড়ে কঠোর ডায়েটের মধ্যে থাকেন? একেবারেই না। বরং রোজের খাবার খেয়েই এমন ছিপছিপে গড়ন ধরে রেখেছেন তাঁরা। তবে নিয়ম আছে। রোজের খাদ্যাভ্যাস ও যাপনে এমন কিছু নিয়ম মেনে চলেন জাপানিরা, যাতে তাঁদের কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ওজন তেমন ভাবে বাড়তে দেখা যায় না।
জাপানিদের মতো নিয়ম মানবেন?
জাপানিদের মতো নিয়ম মেনে চলতে হলে ৫টি বিষয়ে নজর দিতেই হবে।
১) শরীরচর্চা
প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। জাপানি ছেলেমেয়েরা শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম করেন। হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো, জগিং রোজের অভ্যাসে থাকেই। তা ছাড়া মন ভাল রাখতে বাগানও করেন অনেকে। গাছপালার পরিচর্যা করেন নিয়মিত।
২) ধীরে খান
সময় ধরে খাওয়া ও সময় নিয়ে খাওয়া— এই দুই অভ্যাসই শরীরে মেদ জমতে দেয় না। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার অভ্যাস যেমন ঠিক নয়, তেমনই খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো করে প্রায় না চিবিয়েই খেয়ে ফেলার অভ্যাসও ক্ষতিকর। জাপানিরা এই নিয়ম কঠোর ভবেই মানেন। খাওয়ার সময়টুকুতে অন্য কাজ নয়, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খেতেই অভ্যস্ত তাঁরা। এতে চিবিয়ে খাওয়াও হয় এবং খাবার সহজেই পাচিত হয়ে যায়।
৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার নৈব নৈব চ
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়েই চলেন জাপানিরা। সাধারণত ফার্মেন্টেড খাবারই বেশি পছন্দ করেন তাঁরা। টাটকা সব্জি, মাছই থাকে রোজের খাদ্যতালিকায়। আর থাকে নানা রকম মরসুমি ফল। প্যাকেটজাত খাবার, প্যাকেটজাত পানীয় এড়িয়ে চললে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট জমবে না। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সহজে মেদ জমবে না।
৪) মেপে খাওয়া
জাপানিরা সব সময়ে ছোট প্লেটে করে খাবার নেন। ভাত খেলে ছোট বাটিতে ভাত নেন। এর কারণ হল তাঁরা পরিমিত আহারই করেন। পাত পেড়ে পঞ্চব্যঞ্জন-সহ ভূরিভোজ জাপানিদের ধাতে নেই। কেবল পরিমাণ মেপে খাওয়া নয়, ক্যালোরি মেপে খাওয়াও জরুরি। রোজের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট পরিমিত মাত্রায় থাকায় জরুরি। জাপানিরা এই নিয়মই মেনে চলেন।
৫) গ্রিন টি
শেষ পাতে মিষ্টি বা দুগ্ধজাত খাবার নয়, বরং খাওয়ার পরে গ্রিন টি খেতেই বেশ পছন্দ করেন জাপানিরা। দুধ-চিনি দিয়ে চা বা ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস নেই তাঁদের। এতে শরীরে ক্যাফিন কম জমা হয়। গ্রিন টি-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। প্রদাহজনিত রোগের আশঙ্কা কমায়।