পিৎজা, বার্গার, মিষ্টি— এমন সব প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় রাত বাড়লে। প্রতীকী ছবি।
শরীরচর্চা, ডায়েট, বাইরের খাবার না খাওয়া, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো— রোগা হতে চেষ্টার খামতি রাখেন না অনেকেই। এত চেষ্টার পরেও অনেক সময় দেখা যায় আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকেই ভুলে যান রোগা হওয়ার পর্বে কী খাচ্ছেন সেটা যেমন জরুরি, পাশাপাশি কখন খাচ্ছেন সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার সময়টাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনের কোন সময় খাচ্ছেন, তার সঙ্গে ওজন কমবে না বাড়বে তার কোনও যোগ নেই। তবে রোগা হওয়ার সময় রাতের খাবার খাওয়ার সময়টাও নজর দেওয়ার কথা বলে থাকেন তাঁরা। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যদি দ্রুত রোগা হতে চান সেক্ষেত্রে রাতের খাওয়াটা সাধারণত তাড়াতাড়ি সেরে নেওয়া ভাল।
রোগা হওয়ার সঙ্গে রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়ার কী সম্পর্ক?
খুব দেরি করে খেলে অনেক সময় খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। সব খাবার সবার সহ্য হয় না। এমন কোনও খাবার যদি থেকে থাকে, সেগুলি রাতে না খাওয়া ভাল। তাই আগে বুঝতে হবে কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে। বিপাক ক্রিয়া উন্নত না হলে রোগা হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। রাত করে খেলে বদহজম হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। শরীরে অস্বস্তি শুরু হলে রাতেও ঠিক মতো ঘুম আসতে চায় না। এই অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। দুপুরের খাবার আর রাতের খাবার খাওয়ার মাঝে অনেক ক্ষণ পেট খালি থাকে, তা হলে খিদে অনেক বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবার খিদের মুখে অনেকটা বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। এমন চলতে থাকলে কিন্তু চেষ্টা করেও কমবে না ওজন।
রাতের খাওয়াটা সাধারণত তাড়াতাড়ি সেরে নেওয়া ভাল। প্রতীকী ছবি।
পিৎজা, বার্গার, মিষ্টি— এমন সব প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় রাত বাড়লে। পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে সব সময় হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। স্যুপ, ওটস, ডালিয়া— এই ধরনের খাবার রাতে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ওজন কমাতে চাইলে কখন খাবেন রাতের খাবার?
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে নিন। ভরপেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেই হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল। তার চেয়ে অফিস থেকে ফিরতে যদি ৮-৯ টা বেজে যায়, সে ক্ষেত্রে তখনই একেবারে রাতের খাবার খেয়ে নিন। তার পর হাঁটাচলা, সিরিজ দেখা, বই পড়া— এগুলি করতে পারেন। এতে দেখবেন তা়ড়াতাড়ি ঘুমও আসবে। শরীরও ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে।