কাঁচা দুধে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে দুধ এলে প্রথমেই আমরা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে তুলি রাখি। কাঁচা দুধে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। ফুটিয়ে নিলে সেগুলি মরে যায় এবং হজমের গন্ডগোলও কম হয়। ফোটানো দুধ একটু বেশি দিন ভাল থাকে। ফ্রিজে রাখলে তিন থেকে চার দিন দিব্যি ভাল থাকে দুধ। তবে সেই ঠান্ডা দুধ ব্যবহার করার আগে বারংবার দুধ ফুটিয়ে নিই আমরা। আর তাতেই হতে পারে সমস্যা।
প্যাকেটের দুধ ‘প্যাশ্চরাইজ’ করাই থাকে। সহজ ভাষায় বললে, যতটা ফুটালে ব্যাক্টিরিয়া মরে যায়, ততটা তাপমাত্রা পর্যন্ত ফোটানোই হয়। তার পরেই বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে টেট্রা প্যাকে যে দুধ বিক্রি হয়, সেগুলি ফোটানোর কোনও প্রয়োজন নেই। সিল না খোলা পর্যন্ত আপনি বাইরেই রাখতে পারবেন। খারাপ হওয়ার ভয়ও নেই।
প্রতীকী ছবি
এ ছাড়া অন্য প্যাকেটে যে দুধ বিক্রি হয়, সেগুলি এক থেকে দু’ বারের বেশি না ফোটানোই ভাল। বার বার দুধ ফোটালে দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ একাধিক বার জ্বাল দিলে বেশি গাঢ় হয়ে যায়। সেই দুধ খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। তা ছাড়া নিয়মিত ঘন দুধ খেলে ওজন বেড়ে যেতে পাড়ে।
কী ভাবে ফোটাবেন?
দুধ ফোটানো সহজ মনে হলেও ব্যাপারটা কিন্তু ততটাও সহজ নয়। খুব বেশি আঁচে দুধ ফোটালে নীচটা ধরে যাবে। তাই মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে দুধ ফোটাতে হবে। এবং পাত্রের পাশে ছোট ছোট বুদবুদ দেখলেই নাড়তে হবে। দুধ ফুটে ওঠা পর্যন্ত নেড়ে যেতে হবে। দুধ এক বার ফুটে উঠলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে মিনিট খানেক নাড়াচাড়া করে নিয়েই গ্যাস বন্ধ করে দিন। তার বেশি ফোটানোর প্রয়োজন নেই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।