প্রতীকী ছবি।
কী খেয়ে দিন শুরু করছেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনার বাকি দিনটা কেমন কাটবে। ভারী জলখাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল বলে জানি আমরা। কিন্ত ঘুম থেকে উঠেই তা করবেন না। শুরুতে হাল্কা কোনও খাবার খেয়ে তার ঘণ্টা খানেক পর যদি ভাল করে জলখাবার খান, তা হলে শরীরের বিপাক হার বেশি ভাল কাজ করবে। জেনে নিন খালি পেটে কী খেলে বেশি উপকার পাবেন।
মধু
গরম জলে লেবুর রস আর মধু খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা বিশেষ করে এই পানীয় খালি পেটে খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলে শরীরের বিপাক হার বাড়বে এবং দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে।
কাঠবাদাম
অনেক বাদাম, ড্রাই ফ্রুট শুকনো খাওয়ার চেয়ে জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে তাঁর পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তার মধ্য অন্যতম উদাহরণ কাঠবাদাম। এমনি টুকরো খিদে মেটাতে কাঠাবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু প্রত্যেক দিন সকালে আপনি যদি সারা রাত ভিজানো কাঠবাদাম খালি পেটে খান, তা হলে হৃদ্রোগের, ডায়াবিটিসের মতো অনেক সমস্যা দূরে থাকবে। সকালে যদি শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে, তা হলে তার আগে কাঠবাদাম খেলে অনেক বেশি এনার্জি পাবেন।
প্রতীকী ছবি।
আমলকি
আমলকি এমন একটি ফল যাতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। খালি পেটে যদি আমলকির রস খেতে পারেন চুল, ত্বক সবই ভাল থাকবে। তার পাশাপাশি হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং লিভারও ঠিক মতো কাজ করবে। এমনিতে আমলকি খুব টক হওয়ায় অনেকে সেদ্ধ করে ভাতে মেখে খান। কিন্তু তাতে সব পুষ্টিগুণ চলে যায়। তার চেয়ে কাঁচা খাওয়াই ভাল। খালি পেটে খেতে পারলে আরও উপকারী।
পেঁপে
কাঁচা পেঁপে রস করে খাওয়ার যেমন গুণ রয়েছে, তেমনই পাকা পেঁপে খাওয়ারও অনেক সুফল রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে যদি খালি পেটে পেঁপে খেতে পারেন তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। পেঁপের ক্যালোরি অনেকটাই কম। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, এদিকে কোনও মিষ্টি ফল খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না, তাঁরা পেঁপে খান। এতে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি।
জিরে ভিজানো জল
যদি আপনার পিসিওডি বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তা হলে অবশ্যই রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস জলে কিছু জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে খান। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং বিপাক হারও বাড়বে।
খেজুর
কাঠবাদামের মতোই খেজুরও যদি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন তা হলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। খেজুরে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে বর্ষায় যারা মাঝেমাঝেই ডায়ারিয়া বা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন, তারা রোজ নিয়ম করে খেজুর খেলে উপকার পাবেন।