তিরিশের পর মেয়েদের কোন শারীরিক পরীক্ষাগুলি করানো আবশ্যিক? ছবি: শাটারস্টক।
পরিবারের ছোটখাটো নানা বিষয়, সকলের স্বাস্থ্য, সংসাসারিক নানা সমস্যা নিয়ে মহিলারা যতটা চিন্তিত থাকেন, নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সাধারণত ততটাই উদাসীন তাঁরা। অথচ ঘরের কাজ, সংসারের দায়িত্ব কিংবা অফিসের চাপ, সবটাই একা হাতে সামলাতে হয় তাঁদের। শরীরের প্রতি দীর্ঘ দিনের অনিয়ম আর অযত্নের ফলে অজান্তেই জন্ম নেয় নানা ধরনের অসুখ। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই মহিলাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। আর ৩০ পেরোলেই শরীরে দেখা দিতে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, বয়স তিরিশের কোঠা ছাড়ালেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি করে সচেতন হতে হবে মহিলাদের। প্রতি বছর নিয়ম করে কয়েকটি পরীক্ষা এই বয়সে করা জরুরি। কারণ, শরীরে যদি কোনও সমস্যা থাকেও, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে।
জরায়ুতে ক্যানসারের পরীক্ষা: নিময়িত প্যাপ স্মিয়ার’এর মাধ্যমে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের জরায়ু পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। ক্যানসারের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তাতে আভাস পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করেও দেখা যায় ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।
ম্যামোগ্রাম: ৩০ বছরের পর থেকেই প্রত্যেক বছর একবার করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত।
লিপিড প্রোফাইল: সুস্থ জীবন থাকতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। সব ঠিক আছে কি না দেখা জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট: অনেক মেয়ের মধ্যে অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েডের মতো অসুখের কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই অসুখগুলি ধরা পড়ে। আপনার হিমোগ্লোবিন কতটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে, এই রোগগুলি সহজেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।
হাড়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা: হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে পুরুষের চেয়ে মহিলারা বেশি ভোগেন। হাঁটুতে ব্যথা, আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই ধরনের সমস্যাগুলি মহিলাদেরই বেশি হয়। তাই ৩০ পেরোনোর পর শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করানো জরুরি। পাশাপাশি যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন, তা হলে আরও ভাল হয়।