কখন ফল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়েও রয়েছে চর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
ফল নিঃসন্দেহে শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই দিয়ে থাকেন। কিন্তু খাওয়ার আগে না পরে— কখন ফল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়েও রয়েছে চর্চা। আবার কারও মতে সকালের খাবারে যদি ফল রাখা যায়, তার চেয়ে ভাল নাকি আর কিছুই হয় না। তবে পুষ্টিবিদরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, দিনের যে কোনও সময় খাওয়া যেতে পারে ফল। সময় অনুযায়ী ফল খাওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, দিনে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অন্তত তিন বার পরিমিত পরিমাণে ফল খাওয়া। তবে সবার শারীরিক পরিস্থিতি এক নয়। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার সময়ও পরিবর্তিত হয়। কাদের কখন ফল খাওয়া উচিত, রইল তার তালিকা।
রোগা হওয়ার পর্বে
ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এমনিতেই বেশ কার্যকর। তা ছাড়া ফাইবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ঘন ঘন খিদে পাওয়া কিংবা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই খাওয়ার আগে ফল খেলে দ্রুত পেট ভর্তি হয়ে যায়। একসঙ্গে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। শরীরে ক্যালোরিও কম পরিমাণে প্রবেশ করে।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার সময়েরও পরিবর্তন হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবেটিক হলে
ডায়াবিটিস থাকলে সব ফল খাওয়া যায় না। যে হেতু ফলে শর্করা বেশি থাকে, তাই ডায়াবেটিকদের ফল খেতে হয় মেপে। কিন্তু অন্য কোনও ভারী খাবার বা অধিক প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ফল খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রে শর্করার শোষণের গতি কমে যায়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বৃদ্ধি পায় না।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায়
অনেক ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় হবু মায়ের ডায়াবিটিস ধরা পড়ে। হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়ে এমনটা ঘটে বলে মত চিকিৎসকদের। এই ধরনের সমস্যা থাকলে সকাল সকাল বেশি পরিমাণ ফল খাওয়া ভাল নয়। খালি পেটে ফল খেলে আচমকা বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা। তাই দুপুরে ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে দু’-একটা ফল খাওয়া যেতে পারে।