কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়ম করে সবুজ শাক-সবজি খান। ছবি: সংগৃহীত
কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি জাতীয় মোমের মতো বস্তু। এই চর্বি উৎপন্ন হয় যকৃৎ থেকে। কোলেস্টেরল সাধারণত দু’ধরনের, ১) উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন এবং ২) নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন। প্রথমটি হল ভাল কোলেস্টেরল। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। আর দ্বিতীয় কোলেস্টরলটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যা হৃদ্যন্ত্রে ব্লকেজ তৈরি করে। স্ট্রোক, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরল উচ্চ রক্তচাপের মতোই। বাইরে থেকে কোনও উপসর্গ তৈরি না করে ভিতরে ভিতরে ক্ষতি করে। তবে ‘আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি ফাউন্ডেশেন’-এর মতে, উচ্চ কোলেস্টেরলেরও কিছু লক্ষণ আছে। তা শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন, চোয়াল ও বাহুতে দেখা যায়।
সেই লক্ষণগুলি কী কী?
১) বমি ভাব
২) চোয়ালে ব্যথা
৩) বাহুতে ব্যথা
৪) অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
৫) শ্বাসকষ্ট
অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন উচ্চ কোলেস্টেরল?
মূলত চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলেও নিয়মিত কোলেস্টেরেল মাপা প্রয়োজন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা মূলত নির্ভর করে জীবন যাত্রার পরিবর্তনের উপরে। সঠিক জীবনযাপন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কী ভাবে?
১) ধূমপান ত্যাগ করুন।
২) মদ্যপান কমান।
৩) প্রতিদিন অন্তত ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করুন।
৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেশি ফ্যাটযুক্ত খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫) প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন সতেজ ফল ও সব্জি।
৬) কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে পাঁঠার মাংসের মতো অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকিকও প্রকট করে।