শিশুকে জল খাওয়ান কায়দা করে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। যে কোনও মরসুমেই এমনটা হতে পারে। তবে শীতকালে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, এই মরসুমে জল খাওয়ার বিষয়ে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শীতের কনকনে ঠান্ডায় জল খাওয়ার কথা বড়দেরই মনে থাকে না, সেখানে ছোটদের জল খাওয়ানো রীতিমতো যুদ্ধের ব্যাপার। অথচ জল না খেলেও চলবে না। কারণ, এই সময় শিশুরা সর্দিকাশি, ফ্লু, জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতো নানা সমস্যায় ভোগে। তবে বকুনি না দিয়ে শিশুকে জল খাওয়ানোর লক্ষ্যে কী ভাবে সফল হবেন?
১) জল খাওয়ার অভ্যাস চাইলেই এক দিনে করানো যায় না। নিজের হাতে খেতে শেখার আগে থেকেই শিশুকে সময় ধরে জল খাওয়ান মায়েরা। নিজের হাতে খেতে শিখলে, সারা দিনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে খাওয়ার আগে বা পরে জল খেতে শেখান। ছোট থেকে এই অভ্যাস তৈরি হলে একটা সময়ের পর সন্তান নিজেই জল চেয়ে খেতে চাইবে।
২) দুষ্টু, ডানপিটে বাচ্চারা একেবারেই জল খেতে চায় না। অনেক সময় আদর করে, ভালবেসে তাদের বুঝিয়েও কাজ হয় না। তাদের বুদ্ধির সামনে কোনও ফন্দি-ফিকিরই কাজে লাগে না। তখন খেলার ছলে, গল্প বলে, মজা করে জলের বিকল্প হিসাবে ফলের রস, ডাবের জল, স্যুপ খাওয়াতে হয়। তেমন কিছু করতেই পারেন। তবে ভুলেও নরম পানীয় খাওয়াবেন না।
৩) যে সব ফল বা সব্জিতে জলের ভাগ বেশি, সে সব খাওয়ান সন্তানকে। মুসাম্বি, আনারস, তরমুজ, শসা— এই জাতীয় ফলে অনেকটা জল থাকে। এ ছাড়া, সবুজ শাকসব্জিতেও জলের পরিমাণ বেশি। জলের ঘাটতি পূরণ করতে এগুলি পাতে রাখতেই পারেন।