সূর্যাস্তের পর পরই জল খাওয়া কমিয়ে আনা উচিত। ছবি- সংগৃহীত
ক্যাফিনযুক্ত খাবার খাওয়া, যে কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকা এবং ধ্যান করা বা বই পড়ার মতো কাজ ঘুমের আগে করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই জল ঠান্ডা খাওয়া উচিত না গরম? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
শরীরে জলের ঘাটতি থাকলে ঘুমের মধ্যে কখনও খুব গরম বা কখনও খুব ঠান্ডার অনুভূতি হয়। তাই শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে জল খেয়ে নেওয়া উচিত। তবে তা কখনওই নির্ধারিত পরিমাণের বেশি নয়। সারা দিনে জলের পরিমাণ ভাগ করে নিলে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে বেশি জল খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বেশি জল বা যে কোনও পানীয় খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসবে। তখন আবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। প্রতি দিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আবার শরীর খারাপ হবে।
শুতে যাওয়ার আগে জল খাওয়া জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের মত, সূর্যের চলনের উপর যদি আমাদের শারীরবৃত্তীয় চক্রটি নির্ভর করে, তা হলে সূর্যাস্তের পর পরই জল খাওয়া কমিয়ে আনা উচিত। তাতে সারাদিনে জলের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং রাতের ঘুমও বিঘ্নিত হবে না। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঘুমোতে যাওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা আগে হালকা গরম জল খেতে পারেন। ঘুমোনোর সময় জলের ঘাটতি তো হবেই না, প্রাকৃতিক ভাবে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এ ছাড়াও শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে এবং হজমের সমস্যা হলে তা-ও সেরে যাবে।
শুতে যাওয়ার আগে জল খাওয়া জরুরি কেন?
১) দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
২) ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে
৩) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
৪) হার্টের রেট নিয়ন্ত্রণ করে
৫) ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে