মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে ছবি: সংগৃহীত
কোভিড উদ্বেগের মধ্যেই কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও তেলঙ্গনার মতো একাধিক রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে টম্যাটো ফিভার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের দেহেই দেখা যাছে এই জ্বর। আপাতত উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করেই রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসার পাশাপাশি, রোগটি যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যেও শুরু হয়েছে সতর্কতামূলক প্রচার।
কিন্তু কী কী উপসর্গ এই রোগের?
১। এই জ্বরের সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের কিছুটা মিল রয়েছে।
২। তীব্র জ্বর, গা-ব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। ৩। অধিকাংশ রোগীর দেহে দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্রাকৃতি লাল ফোস্কার মতো ক্ষত। ক্ষুদ্রাকৃতি টমেটোর মতো এই ফোস্কার কারণেই রোগটির নাম ‘টম্যাটো ফ্লু’। ৪। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বমি ও পেটের গোলযোগও।
৫। জটিলতা বাড়লে স্নায়ু ও হৃদযন্ত্রের সমস্যাও দেখা দিতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে।
গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ
কোন পথে নিরাময়?
চিকিৎসকদের দাবি, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। নির্দিষ্ট কিছু সতর্কতা বজায় রাখলেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে এই রোগের প্রকোপ। উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জলশূন্যতা তৈরি হলে দেখা দিতে পারে বিপদ। নিতে হবে যথেষ্ট বিশ্রামও। যে যে শিশুর দেহে ফোস্কা দেখা দিয়েছে, খেয়াল রাখতে হবে যেন তারা কোনও ভাবেই ফোস্কাগুলি না চুলকে ফেলে। চুলকালে ক্ষতস্থানে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও দিতে হবে জোর। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই বলেই দাবি চিকিৎসকদের। মুখ চোখে হাত না দেওয়া ও নিয়মিত হাত ধোয়ার উপরেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।