করোনার নতুন রূপ। ছবি: সংগৃহীত।
নতুন করে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। করোনার ওমিক্রন ভাইরাসের এক নতুন উপরূপ ‘কেপি.২’। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লার্ট’। এই ভাইরাসের সংক্রমণে বিধ্বস্ত আমেরিকা। বিদেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ারও উপায় নেই। কারণ এ দেশেও প্রবেশ করেছে এই ভাইরাস। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ৯১ জন সংক্রামিত হয়েছেন। পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১। ঠাণেতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। বছরের শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন এই উপরূপের সংক্রমণ ছড়িয়ে প়ড়তে শুরু করে। আমেরিকায় এর দাপট সব চেয়ে বেশি হলেও, যে কোনও মুহূর্তে অন্যত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলে।
ফ্লার্ট-এর আগে জেএন.১ নামে এক উপরূপ ছড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু নতুন ভাইরাসের দাপটে সেটি চাপা পড়ে গিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু আগে থাকতে সাবধান হওয়াতে ক্ষতি কী! করোনা-স্ফীতি আছড়ে পড়তেও সময় নেয়নি। চোখের নিমেষে অতিমারি গ্রাস করেছিল গোটা পৃথিবীকে। তাই নতুন ভাইরাসের লক্ষণগুলি জেনে রাখা জরুরি।
ফ্লার্ট-এর উপসর্গগুলি কী?
করোনা এবং তাঁর শাখা-প্রশাখার চেয়ে এই নতুন রূপের উপসর্গে বিশেষ কোনও ফারাক নেই। গলায় ব্যথা, এক টানা কাশি, সারা শরীরে যন্ত্রণা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অত্যধিক দুর্বলতা হল এর প্রধান উপসর্গ। এ ছাড়াও ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। মরসুম বদলের এই সময়ে এই ধরনের সমস্যা ঘরে ঘরে। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে হচ্ছে ভেবে এড়িয়ে গেলে বিপদ বাড়তে পারে। তাই অসুস্থ হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে?
কোভিড চলে গেলেও করোনার সময়ের সুরক্ষাবিধি এখনও মনে থেকে যাওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রেও একই সকর্কতা মেনে চলতে হবে। পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা, বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা, বাইরে থেকে ফিরে হাত ভাল করে ধোয়া— এগুলি একেবারে প্রাথমিক নিয়মবিধি। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সতর্ক থাকা। অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা।